পেশায় চিকিৎসক গনেন সাজেভ গত শতকের ৯০-এর দশকে ইসরায়েলের জ্বালানি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
মাদক পাচার এবং কূটনৈতিক পাসপোর্ট জালিয়াতির দায়ে এর আগে ২০০৫ সালে সাজেভকে কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। ৬২ বছর বয়সী সাজেভের বিরুদ্ধে এখন ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে বলে ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থা সিন বেইতকে (শাবাক) উদ্ধৃত করে রয়টার্স ও বিবিসি জানিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ২০০৭ সালে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর সাজেভ নাইজেরিয়ায় চলে গিয়েছিলেন।
সিন বেইত বলছে, নাইজেরিয়ায় ইরানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে সাজেভের যোগাযোগ ঘটে এবং দুই বার তিনি ইরান সফরও করেছিলেন। তিনি ইসরাইলের জ্বালানি, নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য ইরানিদের কাছে পাচার করেন।
মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ইরান ও ইসরায়েলের বিবাদ অনেক পুরনো। ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর ক্ষমতাসীনরা মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল রাষ্ট্রটি অবৈধভাবে টিকে আছে। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য ইরানকে হুমকি মনে করে ইসরায়েল।
সিন বেইত জানিয়েছে, গত মে মাসে ইকুয়াটোরিয়াল গিনি সফরের সময় গ্রেপ্তার হন সাজেভ। পরে তাকে ইসরায়েলে আনা হয়। গত শুক্রবার গুপ্তচরবৃত্তিতে আদালতে অভিযুক্ত করা হয় তাকে।
যুদ্ধের মধ্যে শত্রু রাষ্ট্রকে সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে সাজেভের বিচার হবে জেরুজালেমের আদালতে।
এদিকে সাজেভের আইনজীবী দাবি করেছেন, সাজেভকে অভিযুক্ত করে আদালতের পূর্ণাঙ্গ আদেশ এখনও পাওয়া না গেলেও সিন বেইত যে বক্তব্য দিচ্ছে, তা অতিরঞ্জিত।