Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

korea-swedenভালো কৌশলই নিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ শিন তা-ইয়ং। ইউরোপিয়ানদের অনভ্যস্ত চোখের সুবিধা নিতে অনুশীলনে জার্সি অদলবদল করে নিয়েছিলেন। তবে সেটা না করলেও হয়তো পারতেন। কারণ, তাঁর সেরা খেলোয়াড়কে যে জার্সি বদলিয়েও লুকানো সম্ভব ছিল না। যত জার্সি বদলই করা হোক, গোলরক্ষকের পরিচয় তো আর লুকানো যায় না।

অসাধারণ এক ম্যাচ খেলেছেন চো হিয়ুন-উ। একের পর এক পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জে সেভ করেছেন। বিশেষ করে সুইডিশ স্ট্রাইকার মার্কাস বার্গকেই যেন হতাশ করতে নেমেছিলেন। ৯০ মিনিটের এক ম্যাচে শেষ কবে এতবার অবিশ্বাস নিয়ে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের দিকে তাকিয়েছেন বার্গ? তবে এমন দারুণ এক ম্যাচ শেষেও হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন হিয়ুন-উ। কারণ, ৬৫ মিনিটে রিভিউর কল্যাণে পাওয়া পেনাল্টিটা কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেননি আন্দ্রেয়াস গ্রাঙ্কভিস্ত। কে জানে এ শট যদি বার্গ নিতে আসতেন, তাহলে হয়তো সেটাও সেভ করে ফেলতেন হিয়ুন-উ! সুইডেনের কাছে ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ শুরু হলো দক্ষিণ কোরিয়ার।

chardike-ad

এমন ফলেও অবশ্য আপত্তি করতে পারবেন না কোচ তা-ইয়ং। পুরো ম্যাচে তাঁর খেলোয়াড়েরা গোলপোস্টে একটা শটও রাখতে পারেননি। গোল করা তো পরের ব্যাপার! ওদিকে সুইডেন প্রথমার্ধেই অন্তত তিনটি গোল করতে পারত। কিন্তু হিয়ুন-উ যে একাই আজ সুইডেনকে থামিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনায় ছিলেন। বার্গের তিনটি শট ছাড়াও ইয়ানসেন, ক্ল্যাসন কিংবা গ্রাঙ্কভিস্তদের বারবার হতাশ করেছে কোরীয় রক্ষণ।

কিন্তু ৬২ মিনিটে আর রক্ষা পায়নি দলটি। ভিক্টর ক্ল্যাসনকে ডি-বক্সে ট্যাকল করেন কিম মিন-উ। প্রথমে সুইডেনের আবেদনে রাজি না হলেও পরে ভিএআরে সিদ্ধান্ত বদলান রেফারি। ঠান্ডা মাথায় পোস্টের ডান দিকে বল পাঠিয়েছেন গ্রাঙ্কভিস্ত।

এরপরও সুইডেনের আক্রমণের ধার কমেনি। তবে দক্ষিণ কোরিয়াও আক্রমণে উঠেছে জোরেশোরে। কিন্তু তাদের সব তোড়জোড় ছিল ডি-বক্স পর্যন্ত। বক্সের ধারেকাছে এলেই কেন যেন আক্রমণের সুর কেটে গেছে। যোগ করা সময়ের প্রথমে হোয়াং হি-চানের হেড একটুর জন্য পোস্টের পাশ ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে হার মেনেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াকে।

সৌজন্যে- প্রথম আলো