আজ পর্দা উঠছে রাশিয়া বিশ্বকাপের। তার আগে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় এই মহাযজ্ঞ উপলক্ষে মস্কোতেই অনুষ্ঠিত হলো খুদে ফুটবল উৎসব। সেখানেই তাক লাগিয়েছেন গোলাম রাফি। ডিফেন্ডার হিসেবে খেললেও পায়ের জাদুতে মস্কো রাঙিয়েছেন বাংলাদেশি এই কিশোর।
তিন ম্যাচে এক হ্যাটট্রিকসহ রাফি করেছে মোট ছয় গোল! ভাবছেন, তাহলে রাফি বুঝি সেন্টার ফরোয়ার্ড কিংবা স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন। না, ১২ বছর বয়সী রাফি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন একজন ডিফেন্ডার হিসেবেই!
‘ফ্রেন্ডশিপ ফর ফুটবল’ নামক এই খুদে ফুটবলারদের উৎসবে বাংলাদেশি রাফি মাঠে নামেন গালাপগোস সি লায়ন টিমের হয়ে। গ্রুপ পর্বের মোট তিন ম্যাচ খেলে দুটিতেই হারে দলটি। তবে প্রতি ম্যাচেই আলো নিজের দিকে টেনে নেন নারায়নগঞ্জের এই কিশোর ফুটবলার। দলের একমাত্র জয় পাওয়ার ম্যাচে দেখা পান হ্যাটট্রিকেরও।
প্রথম ম্যাচে হোয়াল শার্কের বিরুদ্ধে ২-৪ গোলে হেরে যায় রাফির দল গালাপগোস। দলের পক্ষে দুটি গোলই করেছেন রাফি। দ্বিতীয় ম্যাচে রাফির হ্যাটট্রিকের ওপর ভর করে ঘারিয়ালের বিপক্ষে ৯-০ গোলের বড় জয় পায় গালাপগোস। তবে শেষ ম্যাচে চেতাহর বিপক্ষে ২-৩ গোলে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় দলটি।
ওই ম্যাচেও রাফির পা থেকে এসেছে একটি গোল। ফাইভ এ সাইড এ খেলায় রাফির দলের অন্যান্য সদস্যরা ছিল চীন, সাইপ্রাস, লাইবেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, আইভরি কোষ্ট, তুর্কস অ্যান্ড সাইকাস ইসল্যান্ডসের।
৮ থেকে ১৫ জুন দেশটির রাজধানী মস্কোতে বসেছে ২১১ দেশের খুদে ফুটবলারদের নিয়ে এই ফুটবল উৎসব। আয়োজকদের শর্তই ছিল বাংলাদেশ থেকে পাঠাতে হবে একজন ডিফেন্ডার। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) গত ১২ মার্চ সারা দিনব্যাপী ট্রায়ালের আয়োজন করে।
সেখান থেকে ২০০ জন ডিফেন্ডারের মধ্যে সেরা হয়েই মস্কোর টিকিট পায় রাফি। কাকতালীয় বলা যায়, গত বছরের জুনে কনফেডারেশন কাপ উপলক্ষে আয়োজিত গজপ্রম ইন্টারন্যাশন্যাল সোশ্যাল প্রোগ্রামে অংশ নিতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন তারই যমজ ভাই গোলাম রাব্বী।
ফুটবল উৎসব থেকে বিদায় নিলেও রাফির সামনে এখনো অপেক্ষা করছে বড় এক স্বপ্নের হাতছানি। রাশিয়া ও সৌদি আরবের মধ্যকার উদ্বোধনী ম্যাচটি মাঠে বসে উপভোগ করার সৌভাগ্য হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জ হাজী আলম চান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এই ছাত্রের।