Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পর্নো ব্যবসায়ীদের দাপটে বিষিয়ে উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের জীবন। ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। কেউ জানে না কোথায় বসানো হয়েছে গোপন ক্যামেরা। টয়লেট থেকে শুরু করে পাবলিক যানবাহন সর্বত্রই পর্নো ব্যবসায়ীরা গোপনে ক্যামেরা পেতে রেখেছেন। এরই প্রতিবাদে রোববার দেশটির রাজধানী সিউলের রাস্তায় নেমে এসেছিলেন অন্তত ৩০ হাজার নারী।

chardike-ad

দেশটির গণমাধ্যম বলেছে, দেশটির ইতিহাসে নারীদের এত বিশাল বিক্ষোভ ও সমাবেশ আর কখনো হয়নি। বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, তারা রাস্তাঘাটে কোথাও নিরাপদ অনুভব করতে পারেন না। সর্বত্রই গোপন ক্যামেরার ভয়ে থাকতে হয়। কিন্তু পুলিশ এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। পর্নো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

ক্যামেরায় ছবি ও ভিডিও ধারণের সাথে জড়িতদের পাশাপাশি যারা তা ডাউনলোড করেন এবং দেখেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন নারী বিক্ষোভকারীরা। তারা বলছেন, অনেক নারীই টয়লেটে যাওয়ার সময় নানা উপায়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করেন সেখানে ক্যামেরা বসানো আছে কিনা। কিন্তু এরপরও ক্যামেরা বিষাক্ত ছোবল থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারছেন না। গোপনে ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা বিপুল অংকের অর্থ আয় করছে।

হাউন জুং নামের একজন প্রতিবাদী মহিলা বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন গোপন ক্যামেরা বসানো সিগারেটের প্যাকেট, চাবির রিং, পানির বোতল ও চশমা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এ ধরনের পণ্য বিক্রি বন্ধ করতে হবে।