Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

Bangladesh india woman cricketবাংলাদেশের মেয়েদের এশিয়া কাপ শিরোপা জয়ে গর্বিত সবাই। বরাবর আলোচনার বাইরে থাকা নারী ক্রিকেট দলের এমন সাফল্যে কিছুটা অবাক অনেকে। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সুযোগ-সুবিধা, বেতন বাড়ানোর কথা বলছেন দর্শক-সমর্থকরা। জয় উদযাপন করছে গোটা দেশবাসী।

সালমা-রুমানাদের খেলা ড্রেসিংরুমে বসে একসঙ্গে দেখেছে তামিম-মাশরাফিরাও। জয় নিশ্চিত হতেই আনন্দে ফেটে পড়েন তারা। তামিম-মাশরাফি-মিরাজদের এই উচ্ছ্বাস, অভিব্যক্তিই বলে দেয়, সালমা-রুমানাদের এই সাফল্য শুধু তাদের একার না। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেরও অন্যতম সেরা অর্জন।

chardike-ad

২০১২ ও ২০১৬ এশিয়া কাপ কিংবা সম্প্রতি নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল। মাশরাফি-সাকিবদের জন্য শিরোপা ছিলো মরীচিকা প্রায়। শিরোপার কাছে গিয়েও বারবার ফিরে আসতে হয়েছে হতাশা নিয়ে। বড় মঞ্চে সাফল্যের যে তৃষ্ণা বাংলাদেশের ক্রিকেটে ছিলো, অবশেষে তা মিটলো। কিন্তু সেটা মেয়েদের হাত ধরে। এশিয়া কাপে যে দলটার আগে কখনো ফাইনালে খেলারই অভিজ্ঞতা ছিলো না, তারাই পাল্টে দিলো হিসেবে নিকেশ।

এশিয়া কাপের ইতিহাসে কখনো না হারা ভারতকে সালমার দল হারালো পর পর দুই ম্যাচে। যে মালয়েশিয়ায় ১৯৯৭ সালে আকরাম-বুলবুলদের হাত ধরে এসেছিল আইসিসি ট্রফির শিরোপা, সে মাটিতেই আরো একবার উড়লো লাল সবুজের বিজয় কেতন। সঙ্গে অতৃপ্তি ঘুচলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের বড় শিরোপার।

মাত্র ৬০০ টাকা ম্যাচ ফি’তে জাতীয় লিগে খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা। সুযোগ সুবিধাতেও তারা মাশরাফি-সাকিবদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। তাই তো এই সাফল্যের পর দাবি উঠেছে মেয়েদের ক্রিকেটে পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর।

ক’দিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় টানা ৮ ম্যাচ হেরেছিলো বাংলাদেশের মেয়েরা। হারের বৃত্ত থেকে তারা বের হয়ে গড়লো ইতিহাস। এতো কেবল শুরু, সামনে সালমা-রুমানাদের হাত ধরে আসবে আরো সাফল্য, এমন স্বপ্ন এখন দেখাই যাই।