Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

argentinaআর কতবার আর্জন্টিনাকে বাঁচাবেন মেসি তার কোন ইয়ত্তা নেই। তবে যতদিন আছেন ততদিন এ দলটাকেই যে তার টানতে হবে সেটা পদে পদে প্রমাণ করছেন তিনি। তাকে ছাড়া ইতালির বিপক্ষে জয় পেলেও স্পেনের বিপক্ষে ৬-১ গোলে লজ্জার পরাজয় বরণ করে নিতে হয়। সেই দুঃসহ স্মৃতি ভুলে বিশ্বকাপে ভালো করার লক্ষ্যে হাইতির বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রীতি ম্যাচে নেমেছিল সাম্পাওলির শিষ্যরা।

দীর্ঘদিন পর আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে নেমেই হ্যাটট্রিক করেন মেসি। তার হ্যাটট্রিকেই হাইতিকে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারায় আর্জেন্টিনা। অপর গোলটি করেন আগুয়েরো।

chardike-ad

হাইতির বিপক্ষে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায় খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৭ মিনিটে বা পাশ থেকে ডি মারিয়ার জোরালো শট রুখে দেন হাইতি গোলকিপার। আবারও হাইতির গোলকিপার বাধা হয়ে দাঁড়ান ১২ মিনিটে। এবার ডি বক্সের সামান্য ভেতর থেকে করা মেসির শট রুখে দেন তিনি। কিন্তু ১৬ মিনিটেই ক্যারিবিয়ান দেশটির রক্ষণদূর্গ ভাঙ্গেন পিএসজি তারকে লো সেলসো। ডি বক্সের ভেতর হাইতির ডিফেন্ডার তাকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। স্পট কিক থেকে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ৬২তম গোলটি করেন মেসি।

২১ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ পেয়েও মিস করেন হিগুয়াইন। এর ঠিক চার মিনিট পর লো সেলসোর পাসে ডি মারিয়ার ভলি গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৩০ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পান হিগুয়াইন কিন্তু সালভিওর ক্রসে পা লাগিয়ে মাত্র ২ গজ দূর থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হন হিগুয়াইন। এতটাই নিজের উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন যে গোলবারে লাত্থি মারেন। প্রধমার্ধের বাকি অংশ আর কোন আক্রমণ করতে না পারলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

প্রথমার্ধে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে আর পেরে ওঠেনি হাইতি। বিরতির পর যেন বিধ্বংসী রূপে আবির্ভুত হয় আর্জেন্টিনা। ৫৬ মিনিটে লো সেলসোর হেড হাইতির গোলরক্ষক রুখে দিলেও রিবাউন্ড থেকে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মেসি। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ৬৩ গোল করে টপকে গেলেন রোনালদোকে। দক্ষিণ আমেরিকনান অঞ্চলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পরেও গোলক্ষুধা মিটেনি মেসির।

ম্যাচের ৬৬ মিনিটে লোকাল বয় ক্রিস্টিয়ান পাভন ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে দু’জনকে কাঁটিয়ে মেসিকে পাস দিলে সেটিকে গোলে পরিণত করে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে নিজের ষষ্ঠ হ্যাটট্রিকটি পূরণ করেন মেসি। হিগুয়াইনের একের পর এক মিসের পর তাকে উঠিয়ে আগুয়েরোকে নামান কোচ সাম্পাওলি।

৭১ মিনিটে মেসির বাড়ানো বল থেকেই ম্যাচে নিজের প্রথম গোলটি করেন ইনজুরিমুক্ত আগুয়েরো। ম্যাচের শেষ দিকে আরও কয়েকটি সুযোগ পেলেও গোলের দেখা পায়নি আর্জেন্টিনা। ফলে ৪-০ গোলের বড় জয়ে প্রীতি ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে সাম্পাওলির দল।