দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে সেই বৈঠকে থাকতে পারেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জ্যা-ইন।
ব্লু হাউসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকে মুনের উপস্থিতির বিষয়টি নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার মধ্যে প্রাক-সম্মেলনের অগ্রগতির ওপর। আগামী মাসের ১২ তারিখে সিঙ্গাপুরে কিম এবং ট্রাম্পের মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে সম্প্রতি ওই বৈঠক হবে না বলে ট্রাম্প ঘোষণা দেয়ার পর বৈঠকের বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায়। কিন্তু তারপর থেকেই আবার দু’দেশ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে তা হবে, কিম জং উনের সঙ্গে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম বৈঠক। তাই ওই বৈঠককে ঘিরে অনেক বেশি জল্পনা কল্পনা তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে বৈঠকের বিষয়টি এখনও পরিস্কার নয়। তবে কোরীয় দ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রিকরণের প্রতি জোর দেয়া হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সম্ভাব্য পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করতে রাজী আছেন-এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে লিবিয়ার দৃষ্টান্ত দিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলার পর উত্তর কোরিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তাদের তরফ থেকে জানানো হয়, আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভিক্ষা চাইবে না পিয়ংইয়ং। এমনকি তাদের প্ররোচিতও করা হবে না।
উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে ওই ঘোষণা আসার পর ট্রাম্প ওই শীর্ষ বৈঠক বাতিল করে দেন। বৈঠক ভেস্তে যাবার জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রকাশ্য শত্রুতাকে দায়ী করেন তিনি। কিন্তু তার এমন ঘোষণার পরেই উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে বলা হয় যে, যে কোন সময় যে কোন ভাবে এই বৈঠক করতে চায়। এরপর ট্রাম্পের মুখেও ভিন্ন সুর শোনা যায়।
এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ১২ই জুন সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তার যে শীর্ষ বৈঠক হবার কথা ছিল- তা হয়তো হতেও পারে। রোববার ট্রাম্প জানিয়েছেন, বৈঠকের আয়োজন করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি প্রতিনিধি দল উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছে।
ব্লু হাউসের কর্মকর্তারা সোমবার বলেন, মুন জ্যা ইনের থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে রয়েছে। আমরা তাদের পক্ষ থেকে কি হয় সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। এর ওপরই নির্ভর করবে যে, সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প এবং কিম উপস্থিত হবেন কিনা।
এদিকে, শনিবার সীমান্তের যুদ্ধবিরতিগ্রাম পানমুনজমে আবারো আকস্মিক সাক্ষাৎ করেছেন উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার দুই প্রেসিডেন্ট। এর আগে গত ২৭ এপ্রিল উত্তরের প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন প্রথম সাক্ষাৎ করেন। এক মাসের কম সময়ের মধ্যে এনিয়ে দুই প্রেসিডেন্টের দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
মুনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, দুই নেতা মত-বিনিময় করেছেন…উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্মেলনের সফলতার ব্যাপারে