Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

sakib-iplস্বাগতিকদের মাঠে দুর্দান্ত দাপটে ম্যাচ জিতে এবারের আইপিএল ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সাকিবের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ১৪ রানে হারিয়েছে সাকিবরা। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ চেন্নাই সুপার কিংস। ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়েছেন লেগ স্পিনার রশিদ খান। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে হোম টিম ৯ উইকেটে থেমেছে ১৬০ রানে। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।

বিশাল রানের চাপে শুরুটা ভালো ছিল কলকাতার। পাওয়ার প্লেতে দাপট রেখে খেলছিলেন ওপেনার ক্রিস লিন ও সুনিল নারিন। এক পর্যায়ে ২ উইকেট হারানো কলকাতার সংগ্রহ ছিল ৮৭। দশম ওভারে রবিন উথাপ্পাকে রশিদ খান বোল্ড করলে ম্যাচের গতি পাল্টে যেতে থাকে। এক ওভার পর সাকিব অধিনায়ক কার্তিককে ফেরালে আরও চাপে পড়ে যায় কলকাতা। এরপর রশিদ খানের বোলিংয়েই ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে থাকে কেকেআর। ৪৮ রানে দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকা ওপেনার ক্রিস লিনকে সাজঘরে ফেরান। এরপর আর সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়ায়নি কেউ। সর্বোচ্চ ৩০ রান এসেছে শুবমান গিলের ব্যাট থেকে।
৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন রশিদ। সিদ্ধার্থ কৌল ৩২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২টি উইকেট। শেষ দিকে দুর্দান্ত বল করে দুটি নেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন সাকিব।

chardike-ad

শুরুতে টস হেরে যাওয়ায় আক্ষেপে পুড়ছিলেন সানরাইজার্স অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। সেই আক্ষেপের কথা গোপন করেননি টসের পর। ইনিংসের শেষ দিকে রশিদ খানের বারুদ ঠাসা ফিনিশিংয়ে আক্ষেপ রূপ নিয়েছে তৃপ্তিতে। টস হেরে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সাকিবরা।

শুরুটা দেখে শুনে করলেও এক পর্যায়ে কলকাতার বোলিংয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছিল হায়দরাবাদ। দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহার ৩৫ ও শিখর ধাওয়ানের ৩৪ রানের সুবাদে শুরুতে রান উঠে ৫৬।

দলীয় ৫৬ রানে ধাওয়ানকে কুলদীপ ফেরালে দ্রুত কিছু উইকেট পড়ে হায়দরাবাদের। কুলদীপের বলে অধিনায়ক উইলিয়ামসন মাত্র ৩ রানে গ্লাভসবন্দী হলে চাপ বাড়ে সানরাইজার্সের।

চাপে থাকা হায়দরাবাদকে আরও বিপদে ফেলে ঋদ্ধিমান সাহার আউট। তাকে গ্লাভসবন্দী করেন চাওলা। দলের প্রয়োজনী মুহূর্তে কিছুটা থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছেন সাকিব। ২৪ বলে ২৮ রান করে ফিরে গেছেন রান আউটের বলি হয়ে। যাতে ছিল শুধু চারটি চার।

কলকাতার বোলিংয়ে শেষ দিকে আবারও খেই হারায় সাকিবদের ইনিংস।১৩৮ রানে উইকেটের পতন হয় ৭টি। তখন ক্রিজে নেমে চমক উপহার দেন রশিদ খান। লেজের দিকে নামা এই স্পিনার শেষ দিকে উপহার দেন মিনি ঝড়। তার ১০ বলে করা ৩৪ রানের ঝড়ে হায়দরাবাদের পুঁজি দাঁড়ায় ১৭৪ রান। যাতে ছিল ২টি চার ও চোখ ধাঁধানো ৪টি ছয়। কলকাতার পক্ষে দুটি উইকেট নেন কুলদীপ। একটি করে নেন সুনিল নারিন, পিযুশ চাওলা ও শিভম মাভি।