facebookফেসবুক এ বছরে তাদের প্রথম প্রান্তিকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্টে জানিয়েছে, গত দুই প্রান্তিকে (২০১৭ সালের চতুর্থ প্রান্তিক এবং ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিক) সোশ্যাল সাইটটি প্রায় ১৩০ কোটি ফেক অর্থাৎ ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করেছে, যার অধিকাংশই ছিল স্প্যাম ছড়িয়ে দেওয়ার অভিপ্রায়ে কিংবা অবৈধ কার্যকলাপের।

সোশ্যাল জায়ান্ট সাইটটি আরো জানিয়েছে, গত দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ ছয় মাসে নীতিমালা ভঙ্গের লাখ লাখ ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে রয়েছে গালাগালি, গ্রাফিক সহিংসতা, প্রাপ্তবয়স্ক নগ্নতা এবং যৌন কার্যকলাপ, সন্ত্রাসী প্রচারণা, স্প্যাম এবং ভুয়া অ্যাকাউন্ট।

chardike-ad

ফেসবুক স্বীকার করেছে যে, তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ প্রযুক্তি এখনো পর্যাপ্ত দক্ষ নয়- বিশেষ করে ঘৃণাত্মক তথ্য চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে ফেসবুক মডারেটরদের মাধ্যমে চেক করার প্রয়োজন পড়ে।

ফেসবুকের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট গাই রোসেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে এক্ষেত্রে অগ্রগতির অনেক বেশি প্রয়োজন এবং আমরা সম্ভবত আমাদের পদ্ধতি পরিবর্তন করবো, যার মাধ্যমে আমরা গুরুত্ব এবং কাজের ব্যাপারটি আরো বেশি শিখবো। নীতিমালা ভঙ্গকারী পোস্ট প্রতিরোধে আমাদের এখনো অনেক কাজ করার আছে।’

প্রতিষ্ঠানটি এর আগে জানিয়েছিল যে, ফেসবুককে সকলের জন্য নিরাপদ রাখতে আরো কয়েক হাজার নতুন মডারেটর নিয়োগের পরিকল্পনা তারা করছে।

এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে ঘৃণাত্মক মন্তব্যের মাধ্যমে নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ২৫ লাখ পোস্ট মডারেট করেছে ফেসবুক, যার মধ্যে মাত্র ৩৮ শতাংশ পোস্ট স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি চিহ্নিত করতে পেরেছিল, আক্রমণাত্মক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা আক্রমণাত্মক মন্তব্য কিংবা সারগাজম চিহ্নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে ফেসবুক ৩৪ লাখ সহিংসামূলক কনটেন্ট মুছে ফেলেছে বা সতর্ক করেছে- ২০১৭ সালের শেষ প্রান্তিক থেকে এ বছরের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত যা ১৩৪ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮৬ শতাংশ সহিংসামূলক কনটেন্ট ফেসবুকের প্রযুক্তি খুঁজে বের করেছে, ব্যবহারকারীরা অভিযোগ জানানোর আগেই।

ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট গাই রোসেন বলেন, ‘ফেসবুকে সহিংসামূলক কনটেন্ট বেড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে আন্তর্জাতিক মতবিরোধ, যেমন- সাম্প্রতিক সিরিয়ার ঘটনা। প্রায়ই দেখা যায় যখন বিশ্বে বিতর্কিত কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তখন বিষয়টি ফেসবুকে প্রচুর পরিমাণে চলে আসে।’

বিভিন্ন দেশের সরকার এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে ফেসবুক কঠোর সমালোচিত হয়ে আসছে গুজব, ঘৃণাত্মক কনটেন্ট, সন্ত্রাসবাদ, সংঘাতের কাজে সাইটটির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এবং প্লাটফর্মটির মাধ্যমে খুন এবং আত্মহত্যার মতো বিষয়গুলো প্রচার পাওয়ায়।

নিয়মভঙ্গকারী লেখা, ছবি এবং ভিডিও মুছে ফেলতে সফটওয়্যার এবং মডারেটর উভয় মাধ্যম ব্যবহার করছে ফেসবুক।

তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল