বিশ্বের ১১৮টি দেশে চালু রয়েছে ই-পাসপোর্ট বা ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট। ওই দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। আর এ কাজে টেকনিক্যাল এবং টেকনোলজিক্যাল দুটি কাজে সহায়তা দেবে জার্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভেরিডাস জিএমবিএইচ। বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জর্মানি গিয়েছিলেন সেখানে একটি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হয়। তার আলোকে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তনের লক্ষ্যে জার্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভেরিডাস জিএমবিএইচ এর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর কর্তৃক জি টু জি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতে কার্যসম্পাদনের অনুমোদন দেয়া হয়। অর্থাৎ ই-পাসপোর্ট চালুর ক্ষেত্রে জার্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি আমাদের টেকনিক্যাল এবং টেকনোলজিক্যাল দুটি কাজে সহায়তায় দিবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নিরাপত্তা চিহ্ন হিসেবে ই-পাসপোর্টে থাকবে চোখের মণির ছবি ও আঙুলের ছাপ। আর এর পাতায় থাকা চিপসে সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য। ফলে পরিচয় গোপন করা সম্ভব হবে না।
সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে এমআরপির পাশাপাশি ই-পাসপোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। একই সময় পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যে দিন থেকে ই-পাসপোর্ট চালু হবে সেদিন থেকে এমআরপি পাসপোর্ট রিনিউ করতে গেলে ই-পাসপোর্ট করতে হবে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডাসহ ১১৮টি দেশে ই-পাসপোর্ট চালু আছে। বর্তমানে সাধারণ ও জরুরি পাসপোর্ট করতে যথাক্রমে তিন হাজার ও ছয় হাজার টাকা ফি দিতে হয়, যার মেয়াদ পাঁচ বছর।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ