Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

bplক্রিকেট পাড়ায় হঠাৎ গুঞ্জন! ফিস ফাস! ‘এ বছর বিপিএল নাও হতে পারে?’ বিপিএলের ৬ষ্ঠ আসর শুরু হওয়ার কথা আগামী অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে। সেই সূচি নাকি পাল্টে জানুয়ারিতে গড়াতে পারে। গুঞ্জন বলা ঠিক হবে না। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিককে উদ্বৃত করে একটি খবর ইতিমধ্যে প্রচারও হয়ে গেছে যে, ‘এই বছর বিপিএল অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। হলেও সেটা হবে বিলম্বে।’

সত্যিই বিপিএল এ বছর নাও অনুষ্ঠিত হতে পারে। শুরুর সময় অক্টোবর থেকে পিছিয়ে আগামী বছর জানুয়ারীতেও হতে পারে বিপিএলের ৬ষ্ঠ আসর? এটা কি চুড়ান্ত? নাকি এখনও চিন্তা-ভাবনা, আলাপ-আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে?

chardike-ad

আজ দুপুরে বিপিএল আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব এবং বিসিবির শীর্ষ নীতি নির্ধারক মহলের অন্যতম সদস্য ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘বিষয়টি আলাপ আলোচনার পর্যায়ে আছে। এ নিয়ে সর্বশেষ বোর্ড সভায় কথা হয়নি। তবে বোর্ডের উচ্চ বা নীত নির্ধারক মহলে আলোচনা চলছে। এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।’

পরিবর্তন যে আসতে পারে, সেটা তিনিও জানিযেছেন। বলেছেন, ‘তবে এটুকু বলতে পারি, পরিবেশ-পরিস্থিতির আলোকে বিপিএলের সময়সূচিতে পরিবর্তন আসতেও পারে। আমরা অক্টোবরের বদলে বিপিএল আগামী বছর জানুয়ারিতে আয়োজনের কথা ভাবছি।’

সেটা কেন? আই এইচ মল্লিকের জবাব, ‘নাহ জাতীয় দলের সফরসূচি কিংবা আন্তর্জাতিক সিডিউল মেইনটেন করতে গিয়ে নয়। আমরা বিপিএল আয়োজনের সময় নিয়ে ভাবছি, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে। সবার জানা, আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তার দুই বা মাস খানেক আগে বিপিএল আয়োজন করা কঠিন।’

বিস্তারিত জানাতে গিয়ে আই এইচ মল্লিক বলেন, ‘আমাদের সাতটি দল। তিনটি ভেন্যু। রাজধানী ঢাকা, বন্দর নগরি চট্টগ্রাম আর বিভাগীয় শহর সিলেট। এই তিন ভেন্যুতে খেলা আয়োজন মানে সাত দলের ওই তিন শহরে অবস্থান। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটার, কোচ, কোচিং স্টাফ, ম্যাচ অফিসিয়ালস মিলে অন্তত দুই শতাধিক মানুষের হোটেল আবাসনের ব্যবস্থা এবং তাদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব থাকে আমাদের, মানে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের ওপর। নির্বাচনের ঠিক আগে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী ব্যস্ত থাকবেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে। প্রতিবার বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে আমরা নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে যে সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা পাই, অক্টোবর-নভেম্বরে মানে নির্বাচনের আগে তা পাওয়া সম্ভব নয়। এ কারণেই মূলতঃ সে দিক বিবেচনা করে আমরা বিকল্প চিন্তার কথা ভাবছি। এ নিয়ে বোর্ড কর্তাদের মাঝে কথা বার্তাও হচ্ছে।’

তবুও নির্ধারিত সময় অক্টোবরে বিপিএল আয়োজনের খানিক সম্ভবনা রয়েছে বলেও জানান মল্লিক। সেটা নির্ভর করছে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর। তিনি বলেন, ‘যদি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে পূর্ণ নিশ্চয়তা মেলে, তারা যদি আমাদের বলেন যে- জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাস খানেক কিংবা তারও কম সময় আগেও বিপিএল আয়োজন করতে কোন সমস্যা হবে না, তখন আমরা আগের নির্ধারিত সূচি ও সময়েই বিপিএল আয়োজন করবো। আর যদি নিরাপত্তা বাহিনী তখন নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে বিপিএলের অংশ নিতে অপারগ হয়, তখন আসলে আমাদের বিকল্প পথে হাঁটা ছাড়া উপায় থাকবে না। সে ক্ষেত্রে এ বছর অক্টোবরের বদলে আগামী বছর জানুয়ারীতে বিপিএল আয়োজন করবো। এটা নিয়ে আগামীতে বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলেও আলোচনা হবে।’

মল্লিকের কথায় একটা পরিষ্কার আভাস, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এবার বিপিএল পিছিয়ে যেতেও পারে।