Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

hijabকর্মক্ষেত্রে হিজাব পরার বৈধতা নিশ্চিতে আইনি লড়াই চালিয়া যাওয়া একজন শিক্ষিকার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে জার্মানির আদালত। কর্মক্ষেত্রে ধর্মীয় পোশাক পরিধান না করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বার্লিনের সরকারি চাকরিজীবীদের। বিবিসি লিখেছে, জার্মানির ১৬টি রাজ্যে কর্মক্ষেত্রে হিজাব পরা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন আইন রয়েছে। মামলাকারী শিক্ষিকা মাত্র একদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ওই এক কর্ম দিবস পরে তাকে মহাবিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে হিজাব পরতে বাধা নেই।

বার্লিন লেবার কোর্টের বিচারক মামলার আদেশে বলেছেন, বার্লিনের শিক্ষক, পুলিশ ও বিচারালয়ের কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে যে ‘নিউট্রালিটি’ আইন রয়েছে তা সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। বিবিসি লিখেছে, সম্পূর্ণভাবে হিজাব নিষিদ্ধের প্রস্তাব তিন বছর আগে বাতিল করে দিয়েছিল জার্মানির সাংবিধানিক আদালত। আদালতের যুক্তি ছিল, ধর্মকর্মের স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা করতে ওই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়েছে।

chardike-ad

জার্মানিতে সর্ব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা মুখ দেখাতে বাধ্য। দায়িত্ব পালনকালে কেউ নিকাব পড়তে পারেন না, তবে হিজাব পরতে পারেন। মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকার বিদ্যালয়ে হিজাব পরার অনুমতি চেয়ে করা আবেদন খারিজ হয়ে গেছে, বার্লিনের পক্ষপাতহীন আচরণ নিশ্চিত করার জন্য থাকা আইনের ধারার বলে, আদালত যাকে সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

বুধবার বার্লিন আদালতের ওই রায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। বার্লিনের উদারপন্থী মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও বিদ্যালয় থেকে ধর্মীয় চিহ্ন দূরে রাখার পক্ষে প্রচারণা চালানো সেরান আতেস বার্লিন আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। অন্যদিকে ‘নেটওয়ার্ক এগেইন্সট ডিসক্রিমিনেশন অ্যান্ড ইসলামোফোবিয়ার’ জেনেপ সেটিন বলেছেন, ওই রায় বলতে গেলে ওই শিক্ষিকাকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে রায়ের মধ্য দিয়ে।’ বার্লিনের মেয়র রায়কে সমর্থন করলেও গ্রিন পার্টির নেতার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি ওই রায়।

বিবিসি লিখেছে, জার্মানির ব্রেমেন অঞ্চলে শিক্ষিকারা কর্মক্ষেত্রে হিজাব পরতে পারেন। অন্যদিকে দক্ষিণ রাইন-ওয়েস্টফালিয়াতে হিজাব পরতে দেওয়া না দেওয়ার বিষয়টি নির্দিষ্ট ঘটনার সাপেক্ষে বিচার্য।

সৌজন্যে- বাংলা ট্রিব্রিউন