হকির মানোন্নয়নে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। নানা বাধা-বিপত্তির পরও সঠিক সময়ে প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়িয়েছে। লিগ শেষের পরই জাতীয় দল অংশ নেবে ইন্দোনেশিয়া এশিয়ান গেমসে। তার আগে কমপক্ষে পাঁচটি প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যেতে পারে বাংলাদেশ। ২৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত হকি দল সেখানে অবস্থান করবে। খরচটা দেবে দক্ষিণ কোরিয়াই।
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে আবার পাকিস্তানে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২২-৩০ সেপ্টেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে হকি উন্মুক্ত সিরিজ চ্যাম্পিয়ন লিগ অনুষ্ঠিত হবে। তবে চূড়ান্ত পবে খেলতে হলে বাংলাদেশকে বাছাই লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। আফগানিস্তান, কাজাখস্তান, ওমান, কাতার ও শ্রীলঙ্কার বাছাই পর্বে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। পাকিস্তানে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ খেলতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। তবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুমতি নিয়েই টুর্নামেন্টে এন্ট্রি জমা দিয়েছে হকি ফেডারেশন। এখন গভর্নমেন্ট অর্ডারের ওপর নির্ভর করছে হকি দল পাকিস্তান যাবে কিনা।
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটারদের বহনকারী বাসে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পর পাকিস্তানে সব রকম আন্তর্জাতিক ম্যাচ বা বিদেশি দলের সফর বন্ধ হয়ে যায়। সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। টাইগাররা পাকিস্তান সফরে না গেলেও বাংলাদেশ নারী দল খেলে এসেছে। হ্যান্ডবল দলও কিছুদিন আগে পাকিস্তানে খেলেছে। সে ক্ষেত্রে হকি ফেডারেশন আশা করছে সরকারি অনুমতি পেতে তাদের সমস্যা হবে না।