উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি হলেই দেশটির অর্থনীতি পুনর্নির্মাণে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
এর আগে এক সফরে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়াংয়ে যান পম্পেও। সেখান থেকে ফিরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দেশটির নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে ‘সফল’ আলোচনা হয়েছে।
সাংবাদিকদের পম্পেও বলেন, ‘চেয়ারম্যান কিম যদি সঠিক পথটি বেছে নেন, তবে উত্তর কোরিয়ার মানুষের জন্য একটি শান্তি ও সমৃদ্ধির আগামী রয়েছে।’
এ সময় উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিকীকরণ বন্ধে ‘যথাযথ’ পদক্ষেপ নিতে বলেন পম্পেও। তিনি এটাও উল্লেখ করেন-পিয়ংইয়াংয়ের অপারমাণবিকীকরণ যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ ‘বিশদ যাচাই’ করে দেখবে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের পর পুঁজিবাদি দর্শণ অনুসরণ করে দক্ষিণ কোরিয়া। এর পর ধীরে ধীরে এশিয়ার অন্যতম ধনী দেশে পরিণত হয় এটি। ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়িন মার্কিন ডলার জিডিপি নিয়ে দেশটির অর্থনীতি বিশ্বের সেরা ২০-এর মধ্যে।
অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার জিডিপি ২০ বিলিয়ন ডলারেরও কম, যা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দেশটিকে তালিকার প্রথম ১০০-এর বাইরে রেখেছে। তবে সমাজতন্ত্রের মতাদর্শে চলা দেশটিতে ধীরে ধীরে পুজিঁবাদিত্ব জায়গা করে নিচ্ছে।