মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের এখন প্রতিটি ম্যাচই বাঁচা মরার লড়াই। একটি ম্যাচ হারলেই সিটকে যাবে টুর্নামেন্ট থেকে। এমন সমীকরণকে সামনে নিয়েই গতকাল পাঞ্জাবের বিপক্ষে মুখোমুখি হয় মুম্বাই। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক রোহিত ও কুনাল পান্ডিয়ার ব্যাটে পাঞ্জাবকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইল মুস্তাফিজবিহীন মুম্বাই। আর এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে অবস্থান করছে দলটি।
গতকাল রাতে ইন্দোরের হলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। এদিনও মূল একাদশে জায়গা নিতে পারেননি কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। তাই তাকে সাইড বেঞ্চ গরম করতে হয়েছে।
ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ইন্দোরের দর্শকরা গেইল তাণ্ডবের আশায় ছিলেন। কিন্তু ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব হাত খুলে তাণ্ডব দেখানোর আগেই আউট হয়ে ফেরেন। তবে ফেরার আগে ৪০ বলে ২ ছয় ও ৬ চারে ৫০ রানে ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন। বেন কাটিংকে ছক্কা মারতে গিয়ে সূর্যকুমার যাদবের হাতে ধরা পড়েন ক্যারিবীয় এই ওপেনার।
শেষদিকে যুবরাজের ১৪, করুন নায়ারের ২৩, অক্সার প্যাটেলের ১৩, মার্কাস স্টয়নেসের অপরাজিত ২৯ রান দলের স্কোরকে ১৭৪ রানে দাঁড় করায়। মুম্বাইয়ের পক্ষে ম্যাক্লানাঘান, বুমরাহ, পান্ডিয়া, মারকান্দে ও বেন কাটিং প্রত্যেকেই ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
১৭৫ রানে জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুর পাঁচ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৭ রান সংগ্রহ করে মুম্বাই। কিন্তু দলীয় ৩৮ রানে ১০ রান করে ফিরে যান এভিন লুইস। অপরপ্রান্তে সূর্যকুমার যাদব তার সাবলীল খেলা উপহার দিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত দলীয় ৮০ রানে সূর্যকুমার ৪২ বলে ৩ ছয় ও ৬ চারে ৫৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দিয়ে স্টয়নেসের বলে উইকেটের পেছনে লোকেশ রাহুলের তালুবন্দী হন।
এরপর দলীয় ১২০ রানের মধ্যে আরো দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কিন্তু উইকেটে এসে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার অপরাজিত ৫৬ রানে জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুম্বাই। আর এবারের আসরের তৃতীয় জয় তুলে নিতে সক্ষম হয় তারা। শেষ পর্যন্ত ক্রুনাল ১২ বলে ৪ চার ও ২ ছয় ৩১ এবং হিটম্যান রোহিত ১৫ বলে ২ ছয় ও ১ চারে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। অনবদ্য হাফসেঞ্চুরির কল্যানে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিজের করে নেন সূর্যকুমার যাদব।
পাঞ্জাবের পক্ষে মুজিবুর রহমান ২টি, টাই ও স্টয়নেস ১টি করে উইকেট লাভ করেন।