গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সনাতন ধর্মাবলম্বী অধ্যাপক অরুন চন্দ্র বিশ্বাস সৌদি আরবে হজে যাওয়ার জন্য ৫০ দিনের ছুটি পেয়েছেন। তিনি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ শাখা-৪ থেকে জারি করা আদেশে (স্মারক নম্বর- ৩৭.০০.০০০০.০৮.০১০.৪৩৪) এই শিক্ষকের ছুটি মঞ্জুর করা হয়। আদেশে ২৫ জুলাই থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত অথবা দায়িত্ব হস্তান্তরের তারিখ হতে ৫০ দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এই আদেশটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে- একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী কেন হজে যাওয়ার অনুমতি চাইলেন বা পেলেন?
আদেশের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মুরশিদা শারমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার অফিসে গিয়ে জেনে জানাতে পারবো।’
আদেশের সত্যতা জানতে যোগাযোগ করা হয় গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অরুন চন্দ্র বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ১ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ভারতে ধর্মীয় উপসনালয় পরিদর্শনের জন্য অবকাশকালীন ছুটির আবেদন জানিয়েছিলাম। গত ৩০ এপ্রিলের সরকারি আদেশটি আমি দেখেছি। সেখানে দেখা গেছে, আমাকে হজে যাওয়ার জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে। এটি সম্ভবত মন্ত্রণালয় ভুল করে দিয়েছে।’
ওই কলেজের অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমন ভুল আগেও করেছে। অরুন চন্দ্রের এ বিষয়টি আমিসহ অনেকেই অবগত। সম্ভবত মন্ত্রণালয় ভুল করেছে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ শাখা-৪ যে আদেশে অরুন চন্দ্র বিশ্বাসকে ছুটি দিয়েছে, সেই আদেশেই নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কালেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাছিমা বেগমকেও ওমরা পালনের জন্য ১ জুন থেকে ২১ জুন অথবা হস্তান্তরের তারিখ থেকে ২১ দিন ছুটি মঞ্জুর করা হয়।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কালেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাছিমা বেগম বলেন, ‘আমার আদেশের সঙ্গে গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অরুন চন্দ্র বিশ্বাসকেও ছুটি দেওয়া হয়েছে। দুজনের একসঙ্গে আদেশ হলেও আমি তাকে চিনি না। তবে একই ক্যাডারের তাই হয়তো একসঙ্গে।’
সৌজন্যে- বাংলা ট্রিবিউন