এই বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দলে ছিলেন তিনি। দীর্ঘ সময় পর এবার দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ শান্তি আলোচনাতেও একমাত্র নারী হিসেবে জায়গা নিয়েছেন। তিনি কিম ইয়ো জং। সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত বৈঠকের টেবিলে বড় ভাই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের পাশেই বসেছিলেন। শুক্রবার আন্তঃকোরিয়ার সেই বৈঠকে ছয় সদস্যের মধ্যে তিনিই ছিলেন একমাত্র নারী।
ভাই যখন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তখনও সবার আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে ৩০ বছরের ইয়ো জং। এই ঐতিহাসিক সম্মেলনকে বাস্তবে রূপ দিতে তিনি-ই মূলত কলকাঠি নেড়েছেন। ১৯৫৩ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর কিম ইয়ো জং প্রথম সদস্য যিনি দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন। শীতকালীন সেই অলিম্পিকে দুই কোরিয়ার বৈরিতার অবসানের বার্তাও তিনি দিয়েছিলেন।
কিম ইয়ো জং ভাই কিম জং উনের পক্ষ হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের হাতে চিঠি তুলে দেন। যার মাধ্যমে
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দুই দেশের যোগাযোগ শুরু হয়েছে।
২০১৪ ওয়ার্কার্স পার্টিতে ডেপুটি ডিরেক্টরের পদ পাওয়ার পর থেকেই উত্তর কোরিয়ার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন তিনি। ওই বছরের শেষের দিকে ভাই অসুস্থ হওয়ার পর অল্প সময়ের জন্য দেশ চালানোর ভারও নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন তিনি। সূত্র: সিএনএন