তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি ফাহিম মাসরুরকে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের স্বপক্ষে তার ফেসবুক আইডি থেকে যথেষ্ট পরিমাণ সাক্ষ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টির অধিকতর তদন্ত চলমান রয়েছে। সাইবার ইউনিট সাধারণ মানুষ কে হয়রানি করে না।
এর আগে বুধবার সকালে রাজধানীর কাওরান বাজারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় থেকে মাসরুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক গণশিক্ষা সম্পাদক মো. আল সাদিক গত ২২ এপ্রিল এ বিষয়ে কাফরুল থানায় এজাহার দায়ের করেন। এজাহারে বলা হয়েছে, ‘ফাহিম মাশরুরের ফেসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবির ব্যঙ্গাত্তক কার্টুন আপলোড ও শেয়ারসহ উস্কানিমূলকভাবে মিথ্যা ও আপমানমূলক স্ট্যাটাস ও তথ্য আপলোড করে অপপ্রচারের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ দেশে অরাজক পরিস্থিতি ও অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করেছে এবং একই ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।
বাদী মো. আল সাদিক এজাহারে আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন মিথ্যা, মানহানিকর, আইনশৃঙ্খলার অবনতি সৃষ্টিকারী এবং রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী এ ধরনের তথ্য ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করে; যা সংগঠন, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে।