নিজেদের মাঠ। জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ১১৯ রান। এ তো একেবারেই মামুলি ব্যাপার। কিন্তু এই মামুলি ব্যাপারটাই শেষ পর্যন্ত ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করলো মুস্তাফিজের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সামনে। জয়ের জন্য ১১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৫ ওভারে মাত্র ৮৭ রানেই অলআউট হয়ে গেল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ফলে তাদের পরাজয় ঘটলো ৩১ রানের ব্যবধানে। একই সঙ্গে টানা দুই ম্যাচ হারের পর আবারও জয়ের ধারায় ফিরলো সাকিব আল হাসানের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
এবার আর শেষ ওভারে এসে হারতে হলো না মুম্বাইকে। এই ম্যাচে তো লড়াই’ই করতে পারলো না রোহিত শর্মার দল। বিশেষ করে, ব্যাটসম্যানরা। বোলাররা তাদের আসল কাজটা করে দিয়ে গিয়েছিল। ১১৮ রানের মধ্যে বেধে রাখতে পেরেছিল হায়দরাবাদকে; কিন্তু ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সূর্যকুমার যাদব আর ক্রুনাল পান্ডিয়া ছাড়া কেউ দাঁড়াতেই পারেননি।
ওপেনার সূর্যকুমার যাদব ৩৮ বল খেলে করেছেন ৩৪ রান। মিডল অর্ডারে ক্রুনাল পান্ডিয়া ২০ বল খেলে করেছেন ২৪ রান। বাকি ব্যাটসম্যানরা ২ অংকের ঘরও ছুঁতে পারেননি। কাইরণ পোলার্ড সর্বোচ্চ করেছেন ৯ রান। ইশান কিশান এবং মিচেল ম্যাক্লেনঘান আউট হয়েছেন গোল্ডেন ডাক মেরে।
এভিন লুইস ৫, রোহিতশ শর্মা ২, পোলার্ড ৯, হার্দিক পান্ডিয়া ৩, মায়নাক মার্কান্দে ১, মোস্তাফিজ ১ রানে আউট হয়েছেন। ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন জসপ্রিত বুমরাহ। হায়দরাবাদের বোলারদের মধ্যে সিদ্ধার্থ কাউল নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন রশিদ খান এবং বাসিল থাম্পি। ১ উইকেট করে নেন সন্দ্বীপ শর্মা, মোহাম্মদ নবি এবং সাকিব আল হাসান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৪ ওভারে ১১৮ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় হায়দরাবাদ। সর্বোচ্চ ২৯ রান করে করেন কেন উইলিয়ামসন এবং ইউসুফ পাঠান। মনিশ পান্ডে ১৬ এবং মোহাম্মদ নবি করেন ১৪ রান।