ফেসবুকে প্রেমের সূত্র ধরে প্রেমিকাকে বিয়ের কথা বলে ডেকে প্রেমিকের বন্ধুদের নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুমিল্লা সদরের উত্তর লাকসাম এলাকার আবদুল আউয়ালের বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
মঙ্গলবার রাতে গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে লাকসাম থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য দুই ধর্ষক পলাতক রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লাকসাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, গ্রেফতার রুবেল মিয়া লাকসামের গোপালপুর এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে।
ওসি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের পর ওই তরুণীর সঙ্গে ফাহাদ হোসেন জনি নামে এক তরুণের গভীর সম্পর্ক হয়। জনি ওই তরুণীকে জানিয়েছিল সে প্রবাসে থাকে। এর মধ্যে তাদের সম্পর্ক গভীর হয়।
গত ১৩ এপ্রিল জনি তরুণীকে জানায়, সে দেশে এসেছে এবং দেখা করতে চায়। এরপর ওই তরুণীকে বিয়ের কথা বলে উত্তর লাকসাম এলাকায় আবদুল আউয়ালের বাড়ির সপ্তম তলায় নিয়ে যায়।
পরে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা ফাহাদ হোসেন জনি (২৪) তার বন্ধু লাকসাম গোপালপুর এলাকার ছালেহ আহম্মেদের ছেলে রুবেল মিয়া (৩১, একই এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে এবং আবদুল আউয়ালের বাড়ির দারোয়ান আনিছুর রহমান (৩০), মনোহরগঞ্জ উপজেলার শাকতোলা পাটোয়ারী বাড়ির মৃত সিরাজুল ইসলামে ছেলে মিলে তরুণীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ আরও জানান, ধর্ষণের শিকার তরুণীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে রুবেল মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার রুবেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জানা যায়, ধর্ষণের ঘটনায় আরও দুইজন জড়িত রয়েছে। তাদের মধ্যে ফাহাদ হোসেন জনি প্রধান আসামি।
জনি এবং আনিছুর রহমান পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বুধবার ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।