মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তার পরিকল্পনা ফলপ্রসূ না হলে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসবেন। এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে উত্তর কোরিয়ার ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সফর করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তিনি ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্টের মার-অা-লাগো রিসোর্টে অবস্থান করছেন। সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন আবে।
সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক মাইক পম্পেও উত্তর কোরিয়ায় সফর করেছেন। তার এই সফরের কথা প্রথমে গোপন রাখা হলেও পরে তা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই নিশ্চিত করেছেন। পিয়ংইয়ংয়ে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পম্পেও।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, কিমের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন পম্পেও। গত বছরই কিমকে ছোট্ট রকেট মানব বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন ট্রাম্প। অথচ এখন তিনি নিজেই চাইছেন কিমের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে।
বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, কিমের সঙ্গে পম্পেওর এই বৈঠক হচ্ছে একটি প্রস্তুতিমূলক বৈঠক। এই বৈঠকের পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং উনের সরাসরি বৈঠক হবে। পম্পেও উত্তর কোরিয়ায় সফরের পর ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের কথা জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে চাইছেন। সে কারণেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে গোপন সাক্ষাৎ করতে পিয়ংইয়ংয়ে সফর করেছেন মাইক পম্পেও।
২০০০ সালের পর উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের এটাই প্রথম বৈঠক। এই বৈঠকটি ছিল একেবারেই আকস্মিক। ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন, আমাদের মধ্যে সরাসরি কথা হয়েছে। সেটা অবশ্যই উচ্চ পর্যায়ের। ট্রাম্প জানিয়েছেন, খুব মসৃণভাবেই বৈঠকের বিষয়গুলো এগিয়ে গেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেন, তার জন্য উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন পর শান্তিপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। ১৯৫০-১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের পর এটাই প্রথম আনুষ্ঠানিক আলোচনা।
তবে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে মাইক পম্পেওকে নিয়োগ দিতে চান ট্রাম্প। সে কারণেই তিনি উত্তর কোরিয়ায় আকস্মিক সফর করে এসেছেন। আগামী জুনেই ট্রাম্প এবং কিমের মধ্যে সরাসরি বৈঠক হবে। তবে কোথায়, কখন ওই বৈঠক হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, আমি আগেও বলেছি, উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু কর্মসূচিতে লাগাম টানলে তাদের জন্য সম্ভাবনার পথ খুলে যাবে। এটা হবে তাদের জন্য এবং বিশ্বের জন্য একটি চমৎকার দিন।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ