ঢাকার সেখানে-সেখানে এমনকি রাস্তায়ও ফেলা হয় ময়লা-আবর্জনা। যানবাহন চলার সময় আবর্জনার দুর্গন্ধ নাকে আসে। অনেক সময় নাক বন্ধ করে রাস্তা পার হতে হয়। রাস্তার ধুলাবালিতো রয়েছেই। পরিচ্ছন্নতাকর্মী দিয়ে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গভাবে রাস্তা পরিষ্কার করানোও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ত্যক্ত-বিরক্ত নগরবাসী। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকায় প্রাথমিকভাবে নামানো হয়েছে নতুন একটি যন্ত্র, নাম রোড সুইপার। যন্ত্রটি চালু করলেই মুহূর্তের মধ্যে রাস্তার ধুলাবালি, বর্জ্য পাইপ দিয়ে শুষে নেয়।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এনেছে এই রোড সুইপার। রোড সুইপার দেখতে অনেকটা কাভার্ডভ্যানের মতো। যন্ত্রটির সামনের দিকে রয়েছে দুটি শোষণ পাইপ, যা ময়লা-আবর্জনা শুষে নিতে পারে। যন্ত্রটি চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার ময়লা সাকশন পাইপের মাধ্যমে জমা হয়। একটি পৃথক পানির ট্যাঙ্কও রয়েছে। প্রয়োজনে ট্যাঙ্ক থেকে পৃথক পাইপের মাধ্যমে রাস্তায় পানি ছিটিয়েও রাস্তা পরিষ্কার করা যাবে।
ডিএনসিসির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন জানান, ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে রোড সুইপার চালু করা হয়েছে। রাত ১২টার পর থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত যন্ত্রটি ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে বিজয় সরণি, মানিক মিয়া এভিনিউ, গণভবন, খেজুরবাগান, ক্রিসেন্ট লেক, ইন্দিরা রোড, সংসদ ভবনের আশপাশে পরিচ্ছন্নতার কাজে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে ভালো ফল পেলে পরবর্তীতে অন্য এলাকায়ও যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ানো হবে।
ডিএনসিসি সূত্র জানায়, সাধারণ পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দিয়ে রাস্তা এত সুন্দরভাবে পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। ৩৬ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সমান কাজ করে এই রোড সুইপার। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা যেভাবে রাস্তা পরিষ্কার করেন তাতে করে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে যায়। যে কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মেশিনটির দাম পড়েছে প্রায় চার কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে ঝকঝকে হয়ে যাবে রাস্তা।
সূত্র- জাগো নিউজ