টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বাজে বোলিং করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে দিলেন ৫৫ রান। এত খরুচে বোলিং করে উইকেট পেলেন না একটিও। অন্যদিকে ঝড় তুলেছেন বিরাট কোহলিও। ৬২ বল মোকাবেলায় ৯২ রানের ঝড় তুলে ছিলেন অপরাজিত। তবুও জিততে পারলো না কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তাদেরকে ৪৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এবারের আসরে প্রথম জয় তুলে নিল মোস্তাফিজের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
বিরাট কোহলির ব্যাটিং তাণ্ডব কোনো কাজেই আসলো না রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। কারণ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথম ব্যাট করতে নেমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স যে ঝড় তুলেছিল, তাতেই ধামাচাপা পড়ে গেছে সব। সেখান থেকে কেবলই বিরাট কোহলি মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন; কিন্তু তার একক প্রচেষ্টা কোনো কাজেই আসলো না।
নিজের শেষ ওভারেই ১৮ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজ। ভাগ্য ভালো যে, মুম্বাইয়ের সংগ্রহটা ছিল আকাশছোঁয়া। অন্যদিকে ক্রুনাল পান্ডিয়ার মায়াবী ঘূর্ণি তোপে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যনরা এবং অকাতরে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছে।
ক্রুনালের সঙ্গে জসপ্রিত বুমরাহ এবং মিচেল ম্যাকক্লেনঘান মিলে তাণ্ডব চালান বেঙ্গালুরু ব্যাটসম্যানদের ওপর। যে কারণে এক প্রান্তে কোহলি দাঁড়িয়ে থাকলেও অন্য প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছে। কোহলির সঙ্গে বড় একটা জুটি বাধার কেউ ছিল না।
কোহলি ছাড়া সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন কুইন্টন ডি কক। ১৬ রান করেন মানদ্বীপ সিং এবং ১১ রান করেন ক্রিস ওকস। বিরাট কোহলি অপরাজিত ৯২ রানের ইনিংসটি সাজান ৭ বাউন্ডারি এবং ৪টি ছক্কায়। এক সময় তো মনে হচ্ছিল কোহলির বুঝি সেঞ্চুরিই হয়ে যাবে; কিন্তু শেষ দুটি বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি বিরাট কোহলি।
এছাড়া বেঙ্গালুরুর বাকি ব্যাটসম্যানরা দুই অংকের ঘরেই পৌঁছাতে পারেনি। ফলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানেই থেমে যায় বেঙ্গালুরুর ইনিংস।