Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

najmulইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বোর্ড অব ডাইরেক্টরসের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল হাসান। তিনি সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান আরাস্ত খানের স্থলাভিসিক্ত হলেন। মঙ্গলবার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি নির্বাচিত হছেন বলে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।

নাজমুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের অনারারি অধ্যাপক। তিনি আরমান্দা স্পিনিং মিলের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যাংকের বোর্ড এ আসেন।

chardike-ad

১৯৭৫ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটির প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন অধ্যাপক নাজমুল। পরে তিনি উন্নয়ন অর্থনীতিতে মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি নেন। ১৯৯৩ পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক হওয়া নাজমুল একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতেও কাজ করতেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরামর্শক হিসেবে কাজ করা এই অধ্যাপক সেখানে বিভিন্ন পিএইচডি কমিটিরও সদস্য ছিলেন। ডেনমার্কের রয়্যাল এগ্রিকালাচারাল অ্যান্ড ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসরও ছিলেন তিনি।

এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে আরাস্তু খান ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। জাগো নিউজের কাজে পদত্যাগের বিষয়টি স্বীকার করে আরাস্তু খান বলেন, ব্যক্তিগত কারণে আমি পদত্যাগ করেছি। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল হাসানকে।

তিনি বলেন, আমি আগেও অনেক ব্যাংকের সঙ্গে ছিলাম। ওই সব ব্যাংকের চেয়ে ইসলামী ব্যাংক অনেক বড়। এখানে লোকবলও বেশি। অনেক পলিসি করতে হয়। এটি ব্যবস্থাপনা করাও কঠিন। যা সবসময় আমার পক্ষে করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এসব বিষয়ে আমি নিয়মিত সময় দিতে হিমশিম খাচ্ছি। তাই আজ বোর্ড সভায় আমি পদত্যাগ করেছি। নতুন চেয়ারম্যানও নির্বাচন করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ৫ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের রদবদল ঘটে। ওই দিন রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দিনভর অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ব্যাংকটির পর্ষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে জামায়াত সমর্থিতদের সরিয়ে দেয়া হয়। নতুন বোর্ড অব ডাইরেক্টরসের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন আরাস্তু খান।