২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে নিজ ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন আবু তালেব (৩৫)। পরদিন মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়।
রোববার সকালে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে আবু তালেবের মৃতদেহ উত্তোলন করা হয় প্রায় সাড়ে সাত মাস পর। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে নিজ কবরে শায়িত করা হয়েছে নীলফামারীর চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের দক্ষিণ চওড়া ডাংগাটারী গ্রামের আবু তালেবকে।
মরদেহ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহরাব হোসেন ও নীলফামারী থানার উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এরই মধ্যে নিহতের পরিবারে বিরোধ তৈরি হলে আবু তালেবের ভাই আবু সায়েম ২০১৭ সালের ৭ অক্টোবর নীলফামারী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ মামলা করেন। আদালত শুনানি শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নীলফামারী থানায় মামলাটি প্রেরণ করেন। চলতি বছরের ২৫ মার্চ নীলফামারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। (মামলা নং- ২৩)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে অনুমতি চাওয়া হলে বিজ্ঞ আদালত কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের জন্য ১২ এপ্রিল অনুমতি প্রদান করেন।
আদালতের আদেশ পেয়ে গত রোববার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে থানায় নিয়ে আসা হয়। সাত মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয় সোমবার। সন্ধ্যায় পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়।
নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবুল আক্তার জানান, মামলাটি এখন গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হবে। মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে প্রায় সাড়ে সাত মাস পরও মরদেহে পঁচন না ধরায় এবং দুর্গন্ধ না ছড়ানোয় উৎসুক লোকজন মরদেহ দেখতে থানায় ভিড় করেন।
ওসি জানান, সচরাচর এমনটা হয় না। একটু শুকিয়ে গিয়েছিল মরদেহটি।
চওড়া বড়গাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবু তালেবকে নিজ কবরে পুনরায় দাফন করা হয়।