জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘রংপুরের ২২টি আসন জাতীয় পার্টিকে উপহার দিন, আমি আপনাদের সরকার উপহার দেবো। নীলফামারীর জলঢাকায় সোমবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় ডাকবাংলো মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, ‘প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে দেখা যায় গুম, হত্যা। এসব এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনও দল থাকবে না, তা হয় না। ব্যাংকগুলোতে এখন টাকা নেই। সব টাকা আওয়ামী লীগের পকেটে চলে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই মাসে ২৮৭ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আমার মায়ের জাতেরা বিচার পায় না। কেস হয়, মামলা হয়, কিন্তু শাস্তি হয় না। আর চাকরিক্ষেত্রে চাকরি পায় আওয়ামী লীগ। সাধারণ মানুষের ছেলেমেয়েরা চাকরি পায় না। খালি কোটা আর কোটা। এসব দমনে লাঙলের পক্ষে সারাদেশে উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে। সব আওয়ামী নিয়ম ভাঙো, চুরমার করে দাও।’
উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সব উন্নয়ন হয় ঢাকায়। রাস্তা করেছি আমি, সেখানে সেই রাস্তার ওপরে ফ্লাইওভার তৈরি হয়েছে। আর এখন যে রাস্তা হচ্ছে, সে রাস্তার ফ্লাইওভার দিয়ে রিকশা চলতে পারে না। ঢাকায় জ্যাম আর জ্যাম, মানুষের নাভিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে।’
এরশাদ বলেন, ‘আল্লাহর বিচার আছে এবং তা হবে। আমার বয়স হয়েছে। এ বয়সে কেউ চলতে পারে না। কিন্তু আমি চলতে পারি। আল্লাহ যেন সেদিন পর্যন্ত আমাকে বাঁচিয়ে রাখেন, গরিবের দল জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় আনার জন্য।’
উপজেলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে শাহ আব্দুল কাদের বুলু চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, বিরোধীদলীয় হুইপ শওকত চৌধুরী এমপি, গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) খালেদ আক্তার, নীলফামারীর সাবেক এমপি জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় সদস্য সাইদার রহমান বুলু প্রমুখ।