Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
hijab
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) ফিন্যান্স ১ম ব্যাচের বিবিএ শেষ সেমিস্টার ম্যানেজমেন্ট কোর্সের ক্লাসে এ ঘটনা ঘটে। গেস্ট টিচার হিসেবে ক্লাস নিতে যাওয়া ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইদুল আলামিন এ ঘটনা ঘটান।

ক্লাসে উপস্থিত কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফিন্যান্স ১ম ব্যাচের (ভার্সিটি ৮ম ব্যাচ) তাসনিয়া আনিকা নামের একটা মেয়েকে হিজাব পরার ফলে কটুক্তি করেন। এক পর্যায়ে তিনি মেয়েটিকে ক্লাস থেকে বের করে দিয়ে বলেন, আমার ক্লাসে কোনো হিজাব চলবে না।

chardike-ad

তিনি বলেন, হিজাব নিয়ে ক্লাস করতে হলে বিভাগের চেয়ারম্যানের অনুমতি লাগবে। পরবর্তিতে মেয়েটি বিভাগের চেয়ারম্যান এমদাদুল হকের কাছে গেলে তিনি বলেন, আমি মৌখিক অনুমতি দিতে পারবো, লিখিত কোনো অনুমতি দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

মেয়েটি পুনরায় ক্লাসে গেলে শিক্ষক সাইদুল আলামিন তাকে ঢুকতে দেননি। লিখিত অনুমতি ছাড়া তার ক্লাসে হিজাব পরে ক্লাস করা যাবে না সাফ জানিয়ে দেন।

শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভে ফেটে পরে ক্লাসের অন্য শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, যেখানে পশ্চিমা দেশগুলোতে হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে কোনো বাধা নেই, সেখানে কুবির মতো জায়গায় এমন ঘটনা দুঃখজনক।

এ নিয়ে গতকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে পোস্ট দেন শিক্ষার্থীরা। এমন ঘটনা নারী শিক্ষা ব্যাহত করবে বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাইদুল আলামিন পূর্বেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। ২০১৪ সালে ম্যানেজমেন্ট ৮ম ব্যাচের এক মেয়েকে হিজাব করার ফলে ক্লাস থেকে বের করে দেন তিনি। তখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে তিনি উক্ত ঘটনার জন্য ক্লাসে দুঃখ প্রকাশ করেন, বিভাগের তখনকার চেয়ারম্যান ড. আহসানউল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিভাগে বিষয়টা মিমাংসার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক সাইদুল আলামিন বলেন, ব্যাপারটা বের করে দেয়া এমন নয়। আমি তাকে বলছি অনুমতি নিয়ে আসতে।