২০২৬ সালে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজন ইতোমধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে। কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি। এর মাঝেই নতুন খবরে সরগরম ফুটবল অঙ্গন। ২০২২ সালের কাতার থেকেই হয়তো দেখা যেতে পারে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ। ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা) এমনটা না চাইলেও ইতোমধ্যেই ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে আরব উপসাগরীয় দেশ কাতার।
গত বৃহস্পতিবার কাতারেই ৩২ দলের পরিবর্তে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশন আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়। এর ঠিক দুইদিন পর কাতারও তাদের সাথে একমত পোষণ করলো ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়ে। ২০১০ সালে এক ভোটাভুটির মাধ্যমে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ হিসেবে কাতারের নাম ঘোষণা করেছিল ফিফা। এরপর থেকেই স্টেডিয়াম থেকে শুরু একটি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যা যা প্রয়োজন সবকিছুই তৈরি করতে শুরু করে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশটি।
‘কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে ওই জিনিসটা পুরোপুরি যৌক্তিক কি না। তাছাড়া বিশ্বকাপের আকারও বড় হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কাতার এটির ভার বহন করতে পারবে কি না সেটিও দেখার রয়েছে’- শনিবার এমনটি জানিয়েছে কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি। তারা আরো জানায়, ‘কিন্তু ফলাফলের দিক দিয়ে বিবেচনা করলে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, ৪৮ দলের বিশ্বকাপ হলে কাতার সফলভাবে সেটি আয়োজন করতে পারবে।’
অন্য বিশ্বকাপ আয়োজক দেশের তুলনায় কাতারের স্টেডিয়ামের অবকাঠামো অনেক ভালো। থাকছে অত্যাধুনিক সব সুযোগ সুবিধাও। ছোট্ট এই দেশটি মাত্র ৮টি স্টেডিয়ামেই আয়োজন করবে বিশ্বকাপ। যদি বিশ্বকাপে দল সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তাহলে হয়তো অন্য দেশকেও তারা সঙ্গে নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে সৌদি আরব, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে কূটনৈতিক ঝামেলার কারণে কুয়েত হতে পারে তাদের একমাত্র সঙ্গী।
কাতারের উত্তপ্ত আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে ইতোমধ্যে টুর্নামেন্ট ২৮ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। এমনকি বিশ্বকাপ আয়োজনের নিয়মিত সময় জুন-জুলাই থেকে পিছিয়ে নভেম্বর-ডিসেম্বরেও আয়োজন হতে পারে ২০২২ সালে। এত পরিবর্তনের পরেও ২০২২ সালেই ৪৮ দলের বিশ্বকাপ হবে কি না সেটি অনেকটা প্রশ্নের মুখে পড়ে গেলো।