৪ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৫। এ সময়ই বোলিংয়ে নিয়ে আসা হয় জসপ্রিত বুমরাহকে। আগের ম্যাচে এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচের মোড়টাই ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে এই ম্যাচেও তেমনই সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন বুমরাহ। কিন্তু কী দুর্ভাগ্য, শর্ট থার্ডম্যানে দাঁড়ানো মোস্তাফিজের হাতে চলে গিয়েছিল স্রেয়াশ আয়ারের ক্যাচ। হাতে বল জমিয়েও পারলেন না সেটি ধরে রাখতে। ছেড়ে দিলেন মোস্তাফিজ। একই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও ক্যাচ উঠলো একই জায়গায়। মোস্তাফিজ ক্যাচটা এবারও ধরে রাখতে পারলেন না।
এই দুটি ক্যাচ ধরতে পারলে ম্যাচের চেহারাটাই হয়তো পাল্টে যেতো। মুম্বাইর হাতে চলে আসতো পুরো ম্যাচটা। তবুও পরের ওভারে নিজে বল করতে এসে ৮রান দিলেন। ১৯তম ওভারে বুমরাহ দিলেন ৫ রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন ১১ রান। মোস্তাফিজের হাতেই তুলে দেয়া হলো বল।
কিন্তু প্রথম বলেই অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরে বল দিলেন। জেসন রয় মেরে দিলেন বাউন্ডারি। পরের বলটি দিলেন লেগ স্ট্যাম্পের ওপর। বলের পেসটা কাজে লাগালেন শুধু রয়। হয়ে গেলো ছক্কা। ১১ রানের মধ্যে ১০ রানই চলে এলো ২ বলে। বাকি চার বলে দরকার ১। টানা তিন বল এবার ডট দিলেন তিনি। রয় খেলতেই পারলেন না। শেষ বলে প্রয়োজন এক রান। ক্লোজ ফিল্ডার নিয়ে আসার ফলে ক্যাচ উঠলেও শেষ বলে সেটি ধরার জন্য বাউন্ডারি লাইনে কেউ ছিলেন না।
ফলে শেষ বলে এসে আবারও হারতে হলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। টানা তিন ম্যাচ একই পন্থায়, একইভাবে শেষ বলে এসে হারতে হলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। মুম্বাইকে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে এবারের আইপিএলে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিলো দিল্লি ডেয়ারডেভিলস।
টি-টোয়েন্টির জন্য এমন পরিবেশই যেন খুব আদর্শ। টান টান উত্তেজনা থাকবে। শেষ ওভারের আগেও কেউ বলতে পারবে না কে জিতবে। শেষ ওভারে ১১ রান প্রয়োজন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের। বোলার মোস্তাফিজ। আগের তিন ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়েছেন। কিন্তু শেষ ওভারেই তিনি দিয়ে দিলেন প্রয়োজনীয় ১১ রান।
১৯৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দিল্লিকে একাই জিতিয়েছেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়। ৫৩ বলে ৯১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৬টি করে মেরেছেন বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার। এছাড়া ঋশাভ পান্ত ২৫ বলে করেছেন ৪৭ রান এবং শেষ মুহূর্তে ২০ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন স্রেয়াশ আয়ার। মোস্তাফিজ নিয়েছেন ১ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া।