জসপ্রিত বুমরাহ আর মোস্তাফিজুর রহমান ম্যাচটা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। ১৮তম ওভারে ৩ রান দিয়ে বুমরাহ নিয়েছিলেন ২ উইকেট। ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজ ১ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। ম্যাচটা পুরোপুরি ঘুরে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দিকে। শেষ ওভারে প্রয়োজন হয় ১১ রান। বোলার বেন কাটিংয়ের হাতে বল তুলে দিলেন রোহিত শর্মা।
কিন্তু বেন কাটিং তো আর মোস্তাফিজ নন যে, বলগুলোকে অন্তত ডট করাতে পারবেন। সুতরাং, শেষ মুহূর্তে শেষ ওভারের প্রথম বলেই দীপক হুদা মেরে দিলেন ছক্কা। ম্যাচ আবারও ঘুরে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দিকে। এরপর এক, দুই করে নিয়ে শেষ বলেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
আবারও শেষ মুহূর্তে এসে তরী ডুবলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। আবারও শেষ মুহূর্তে এসে ১ উইকেটে পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হলো মোস্তাফিজুর রহমানের দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে সানরাইজার্সের সামনে মাত্র ১৪৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল হায়দরবাদের। ঋদ্ধিমান সাহা এবং শিখর ধাওয়ান শুভ সূচনা এনে দেন। ৬.৫ ওভারে তারা দুজন তুলে ফেলেন ৬২ রান।
এরপরই মায়নাক মার্কান্দের ঘূর্ণি তোপে পড়ে ব্যাকফুটে যেতে থাকে স্বাগতিকরা। ২৮ বলে ৪৫ রান করে ধাওয়ান এবং ২০ বলে ২২ রান করে আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা। এরপর উইলিয়ামসন ৬, মানিশ পান্ডে ১১, সাকিব আল হাসান ১২ বলে ১২ রান করে আউট হয়ে যান।
এরপর ইউসুফ পাঠান এবং দীপক হুদা মিলে ধীরে-সুস্থে দলকে জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ১৮তম ওভারে এসে জসপ্রিত বুমরাহর ওভারে জুটি ভাঙে। আউট হয়ে যান ইউসুফ পাঠান। এরপর মোস্তাফিজের তোপ। কিন্তু দীপক হুদা শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ২৫ বলে অপরাজিত ৩২ রান করে সানরাইজার্সকে জয় এনে দেন।
মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। মায়নাক মার্কান্দে ২৩ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। কিন্তু শেষ মুহূর্তে লাভের লাভ কিছুই হলো না।