‘আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় দরকার’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। বিএনপি বা অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে এ ধরাবাহিকতা বজায় রাখতে পারবে না। তাই আমি জনগণের কাছে এ বিষয়টি ছেড়ে দিলাম। তারা যদি দেশের উন্নয়ন চায় তাহলে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসি ঘোষণা দিয়েছে এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে, জনগণ যদি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সরকার গঠনে আমাদের সুযোগ দেয় তাহলে ২০২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে উন্নীত হব। জনগণের ওপর ছেড়ে দিলাম। আমরা না এসে অন্য কেউ এলে তারা কিন্তু তা করতে পারবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় জাতির পিতাকে হত্যা করে উন্নয়নের গতিরোধ করা হয়। জাতির পিতার সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্য নিয়ে আমি দেশের ও জনগণের সেবা করার চেষ্টা করেছি। কী পেলাম আর কী পেলাম না তার হিসাব করিনি। সবসময় লক্ষ্য করেছি জনগণ কী পেল। আজকে দেশ উন্নয়নশীল দেশের অগ্রযাত্রার স্বীকৃতি পেয়েছে। এর জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করেছি। তিনটি শর্ত পূরণ শুধু করেনি, আমরা অনেক বেশি এগিয়ে আছি। আগামী ছয় বছরের অর্জন আমরা আগেভাগেই করে ফেলেছি। আমাদের কেউ নিচে ফেলে দিতে পারবে না। জাতির পিতার দেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম। বিএনপি ক্ষমতায় আসলো আবার দেশ খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত হয়। তাদের আমলে ৪০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পেত না, এখন ৯০ ভাগ পায়। আমরা সাক্ষরতার হার পেয়েছিলাম ৪৫, তা উন্নীত করেছিলাম ৬৫ ভাগ, তা বিএনপির আমলে নেমে যায়। এখন আছে ৭২ ভাগ। এসবের জন্য মনে হয় অন্য কেউ ক্ষমতায় আসলে তা ধরে রাখতে পারবে না। তাই আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় দরকার। আগে পার্লামেন্টে খেউর-খিস্তি হত, এখন তা হয় না, গঠনমূলক সমালোচনা হয়।
সংসদ নেতা বলেন, উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রামে লেগেছে, প্রতিটি গ্রাম নগর হয়ে উঠবে। প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, ঘর পাবে, কেউ আর গৃহহীন থাকবে না। ব্যাপকভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। দেড় কোটি মানুষ কাজ পেয়েছে। গত ৯ বছরে ৫২ লাখের মতো মানুষ বিদেশে গেছে, রেমিট্যান্স আসছে। আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি। আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে কৃষির উন্নয়ন ঘটতে পারে সেদিকে নজর দিচ্ছি। কর্মসংস্থানে ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি। মানুষ ব্যাংক লোন পাচ্ছে, রাস্তার ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। রেলের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটছেই। ছেলে-মেয়েদের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। কম্পিউটার শিক্ষা দিচ্ছি, ল্যাব করে দিচ্ছি। বহু ছেলেমেয়ে এর ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করছে।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ