‘কোটা পদ্ধতিই বাতিল’- সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণা দেয়ার পর আন্দোলনকারীরা বলছেন, আমরা পুরো কোটা বাতিল চাইনি। সংস্কার চেয়েছিলাম।
কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম অাহ্বায়ক নূরুল হক নূর সাংবাদিকদের বলেছেন, অাজকের মতো অান্দোলন স্থগিত। রাতে কমিটি বসে বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে। এরপর আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে এসে সিন্ধান্ত জানানো হবে।
তিনি এ সময় টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের লক্ষ করে বলেন, আমরা আগামীকাল ১০টায় এখানে সমবেত হব। সবাই আসবেন। সিদ্ধান্ত জানানো হবে এবং পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থী জামিলুর রহমান বলেন, আমরা পুরো কোটা বাতিল চাইনি। সংস্কার চেয়েছিলাম। কোটা ১০ ভাগে নিয়ে অাসতে হবে। নইলে অাইনি জটিলতায় বা উচ্চ অাদালতে রিট করে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে দেবে সরকার।
সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যা হয়েছে অনেক হয়েছে, এবার বাড়ি ফিরে যাও। কোটা থাকলেই সংস্কারের প্রশ্ন উঠবে। কয়েকদিন ধরে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন, সাধারণ মানুষের কষ্ট। আমি বারবার আর এই আন্দোলন দেখতে চাই না। জেলায় জেলায় আন্দোলন হচ্ছে, মেয়েরাও নেমে গেছে রাস্তায়। তারাও চায় না কোটা। তাই দরকারটা কি? আন্দোলনকারীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ কারণে কোনো কোটা পদ্ধতিই আমি চাই না। কোটা পদ্ধতিরই দরকার নেই।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাহাঙ্গীর কবির নানকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কোটা সংস্কার বিষয়ে কথা বলতে যান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। পরে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা থাকবে না।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দুপুরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আজ সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব আছে। সেখানে এই কোটা প্রসঙ্গ চলে আসতে পারে। সেখানে দেখুন প্রধানমন্ত্রী কী বলেন।’