যেসব দেশ দক্ষ নারী কর্মী আমদানি করে তাদের তালিকায় প্রথম দিকেই আছে জর্ডান। প্রভাবশালী এ দেশটিতে ২০০০ সাল থেকে নারী কর্মী রফতানির কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে দেশটির বিভিন্ন সেক্টরে নারী কর্মী নিয়োগ অব্যাহত থাকে। সম্প্রতি সে বাজারের ওপর বাংলাদেশি নারী কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জর্ডান সরকার।
জর্ডানের শ্রমমন্ত্রী, আলী আল ঘাজ্জাউই জানান, এদেশে শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য বর্তমানে জর্ডানের নিয়োগকর্তারা আর বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়োগ করতে পারবে না। তবে এ ঘটনায় বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে তেমন কোনে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
জর্ডান শ্রম মন্ত্রণালয় জানায়, এদেশে কাজ করতে আসা প্রতিটি শ্রমিকদের কোনো প্রকার অপরাধমূলক অভিযোগ রয়েছে কি-না এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানাতে হবে। এমনকি সব শ্রমিকের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দিতে হবে। জর্ডান সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্তে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে আম্মানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, জর্ডানের শ্রমমন্ত্রী যে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তার ওপর ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন তারা। গৃহকর্মীরা যেনো কোনো প্রকার মানসিক বা শারীরিক সমস্যায় না ভোগেন সেদিকে খেয়াল রাখা হবে বলেও জানান তারা।