Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

জাপানের নতুন পাঠ্যক্রমে অমীমাংসিত দ্বীপ দোকদোকে নিজেদের বলে দাবি করায়  তার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সিউলে জাপানী রাষ্ট্রদূত ইয়াসুমাসা নাগামাইনকে গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডেকে এই প্রতিবাদ জানায়। সম্প্রতি জাপান তার দেশের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণীত পাঠ্যবইয়ে দোকদো জাপানের দ্বীপ উল্লেখ করে। বইটি ২০২২ সাল থেকে জাপানিজ শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বই হিসেবে পড়ানো হবে। জাপানে দ্বীপটিকে তাকেশিমা দ্বীপ হিসেবে চিনে থাকে।

chardike-ad

দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তীব্র প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে ‘জাপানের এই দাবি অযৌক্তিক এবং দোকদো দক্ষিণ কোরিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা তীব্রভাবে এই পদক্ষেপের নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই ধরনের কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করার জোর দাবি জানাচ্ছি। টোকিও ইতিহাসকে বিকৃত করে দোকদোকে আদিকাল থেকেই জাপানের ভূখন্ড ছিল বলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভুল ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছে’।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোরীয় উপদ্বীপে জাপানের ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটে। সেসময় জাপান সাগরের উপর অবস্থিত দোকদো দ্বীপ দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। যদিও জাপান তখন থেকেই দোকদোকে নিজেদের দ্বীপ বলে দাবি করে আসছে।

দোকদো দ্বীপপুঞ্জটি বর্তমানে কোরিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে কোরিয়ার সেনাবাহিনী অবস্থান করছে। দোকদো কোরিয়ার উল্লুংদো দ্বীপ থেকে ৮৭ কিলোমিটার এবং জাপানের ওকি দ্বীপ থেকে ১৫৭ কিলোমিটার দুরত্বে অবস্থিত। কোরিয়ার মূল ভুমি থেকে দোকদো ২১৫ কিলোমিটার দূরে হলেও জাপানের মূল ভুমি থেকে ২১১ কিলোমিটার দূরত্বে থাকায় জাপান দকদোকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।