অবৈধভাবে কর্মরত বিদেশী কর্মীদের ধরতে অভিযান চালাবে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির আইন মন্ত্রণালয় এবং কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রণালযয়ের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান চালানো হবে। জুলাই মাসের আগেই এই অভিযান চালানো ইঙ্গিত দিয়েছে কোরিয়ান সরকার।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয় নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কোম্পানীগুলোতে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অবৈধভাবে কর্মরত বিদেশীদের ব্যাপারে সতর্কতামূলক চিঠি দিয়েছে। সেখানে অবৈধ কর্মীদের ধরতে অভিযানের কথাও উল্লেখ করা হয়। তবে ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানীগুলোতে কোন অভিযান চালানো হবে কিনা জানা যায়নি। গত বছর একই ধরণের অভিযানে ২৬৩ টি কোম্পানীকে জরিমানা করেছিল কোরিয়ান সরকার।
আইন অনুযায়ী, কোন কোম্পানীতে অবৈধভাবে কর্মরত বিদেশী ধরা পড়লে বিশাল অংকের জরিমানা ছাড়াও পরবর্তীতে কোন বিদেশী কর্মী নিয়োগ দিতে পারেন না। ফলে অনেক কোম্পানী অবৈধ কর্মী ধরা পরার পর কর্মী সংকটের কোম্পানী বন্ধ করতে বাধ্য হয়। কোরিয়া কন্সট্রাকশন এন্ড ইকোনমি রিসার্চ ইনস্টিটিউট জানিয়েছে নির্মাণখাতে প্রচুর জনশক্তি দরকার। তাদের হিসেব অনুযায়ী এই বছর কমপক্ষে ৮০ হাজার কোরিয়ান কর্মীর অভাব রয়েছে। কোম্পানীগুলো বলছে এই ধরণের অভিযানের আগে সরকারকে কর্মীর অভাব পূরণ করার উদ্যোগ নিতে হবে।
রাষ্ট্রদূতদের সাথে কর্মসংস্থান ও শ্রমমন্ত্রীর বৈঠক
গতকাল বৃহস্পতিবার ইপিএস কর্মী প্রেরণকারী ১৬ টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে মিটিং করেছে সদ্য নিযুক্ত কর্মসংস্থান ও শ্রমমন্ত্রী কিম ইয়ং জু। মন্ত্রী এই বৈঠকেও অবৈধভাবে কর্মরত বিদেশীদের ব্যাপারে কোরিয়ান সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা রাষ্ট্রদূতদের জানান। বৈধ সময় শেষে নিজ নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে কর্মীদের কনসাল্টিং এবং ট্রেনিং করানোর জন্য উদ্যোগের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। সিউলস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।