বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সবচেয়ে বড় ও সম্মানজনক পুরস্কার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ২০১৬ সালের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিসভা। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সভাপতিত্বে সেখানে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিভাগে সেরাদের নাম ঘোষণা করা হয়।
মন্ত্রিসভার ঘোষণা অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জন্য যৌথভাবে সেরা অভিনেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা ও কুসুম শিকদার। ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অস্তিত্ব’ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিশা ও ‘শঙ্খচিল’ ছবির জন্য কুসম শিকদারকে নির্বাচিত করা হয়েছে মন্ত্রিসভার ঘোষণা থেকে জানায় যায়।
অন্যদিকে, সেরা নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন পরিচালক, অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের জনপ্রিয় উপন্যাস ‘কৃষ্ণপক্ষ’ অবলম্বনে নির্মিত ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ছবিতে শাওনের গাওয়া ‘চলো না বৃষ্টিতে ভিজি’ গানটির জন্য সেরা নারী কণ্ঠশিল্পী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। স্বামী হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ওই ছবিটি পরিচালনাও করেছেন শাওন।
তবে সেরা অভিনেতা, সেরা পুরুষ কণ্ঠশিল্পী এবং অন্যান্য ক্যাটাগরিতে কারা সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এমনকী, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের এ বছরের আসর কবে এবং কোথায় বসবে সে বিষয়েও স্পষ্ট কোনো তথ্য মেলেনি।
এদিকে এই প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন তিশা, কুসুম শিকদার ও শাওন। এর আগে তিশা ও কুসুম সেরা অভিনেত্রী হিসেবে একবার করে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার জিতলেও শাওনের ভাগ্যে সেটাও জোটেনি। কাজেই, ২০১৮ সালটা এই তিন তারকার জন্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে- এ কথা বলাই যায়।
প্রসঙ্গত, অভিনয়ে ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৭৫ সাল থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। এই পুরস্কার প্রাপ্তদের আঠার ক্যারেট মানের পনের গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, এক লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়। এর আগে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দেয়া হতো না। ২০০৯ সাল থেকে সেওটি ২০০৯ চালু করা হয়।