Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সোমবার উত্তর কোরিয়া থেকে চীনে গিয়েছিল কিম জং উন। তাকে বহনকারী বিশেষ ট্রেনটি ঘিরে এখন সর্বত্র আলোচনায়। সোমবার থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে এটি। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ছিলেন সবুজ রঙের এই বিশেষ ট্রেনে।

chardike-ad

মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, কিমের মতোই ট্রেনে করে বিদেশ সফরে যেতেন তার বাবা ও দাদা। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ততথ্য বিশ্লেষণ তারা জানাচ্ছে, ট্রেনটিতে কমপক্ষে ২১টি বগি রয়েছে। এই বগিগুলোতে আছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা।

মূলত তিনটি ট্রেনের বহর নিয়ে বিদেশে যান কিম। তার বাবাও এভাবেই যাতায়াত করতেন। বহরের প্রথমে থাকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একটি উন্নতমানের ট্রেন। এরপরই থাকে উত্তর কোরীয় নেতাকে বহনকারী ট্রেন। আর সবার শেষে থাকে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী, দেহরক্ষী ও প্রয়োজনীয় রসদ বহনকারী আরেকটি ট্রেন।

ট্রেনের প্রত্যেকটি বগিই বুলেটপ্রুফ। এগুলোর ওজনও সাধারণ বগির তুলনায় অনেক বেশি। ওজন বেশি থাকায় ট্রেনের গতি অপেক্ষাকৃত কম। কিমের সবুজ ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ৩৭ মাইলের মতো।

নিউইয়র্ক টাইমস আর জানিয়েছে, তিনটি ট্রেনের প্রথমটিতে প্রায় ১০০ নিরাপত্তাকর্মী থাকে। তারা রেলস্টেশন ও রেললাইনে তল্লাশি ও অনুসন্ধান চালায়। বোমা ও অন্যান্য হুমকির মোকাবিলার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে তাদের। ট্রেনবহর চলার সময় আকাশে উড়তে থাকে সামরিক হেলিকপ্টার ও উড়োজাহাজ।

কিমের এই সবুজ ট্রেনে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। সম্মেলনকক্ষ, ডিনার কক্ষ, ব্যাংকুয়েট হল ছাড়াও আছে অফিস ঘর। ট্রেনে বসেই রাষ্ট্রের সব কাজ করতে পারেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা।

কিম জং-উনের বাবা কিম জং-ইল উড়োজাহাজে উঠতে ভয় পেতেন। এ কারণেই তিনি ট্রেনে ভ্রমণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। এসব ট্রেনে উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা আছে। সেই পরম্পরায় কিমও ট্রেনে ভ্রমণ করাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।