মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আইডিয়াল কলেজ আয়োজিত আলোচনা সভায় রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে মানে না তাদের উচিত পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ করেছিল। পরে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুকে ছোট করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেই ভাষণ আজ বিশ্ব স্বীকৃতি পেয়েছে।’
সোমবার বিকালে রাজধানীর আইডিয়াল কলেজে ৪৮তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ঐ আলোচনা ও মঞ্চ নাটক পরিবেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান আমলেও তারা অত্যাচার, নির্যাতন করতো বাঙালিদের উপর। এই নির্যাতন নিয়ে কেউ কোনো সময় প্রতিবাদ করতে পারতো না। মুসলিম লীগের তৎকালীন নেতা সবুর খান, মনিম খানসহ অনেকে সবসময় পাকিস্তাানের তাবেদারি করতেন এবং জ্বি হুজুর, জ্বি হুজুর করতেন।’
‘কিন্তু বঙ্গবন্ধু কখনও তাবেদারি করেনি। তাই বঙ্গবন্ধুর আহবানে ৯ মাস যুদ্ধের পর স্বাধীনতা আসে। কিন্তু সেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল সব সময় অপপ্রচার চালিয়েছে।’
“বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন খুব অল্প সময়ে। আজ বিশ্বের বড় বড় নেতা ও মনিষীরা শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করেন এবং বলেন ‘গো বাংলাদেশ ফলো শেখ হাসিনা’।”
কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য এ্যাড. সৈয়দ রেজাউর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জসিম উদ্দীন আহম্মেদ, কলেজের উপাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান গোলাম আহসান।
অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, ‘আজকের দিনে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে দেশের মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আজ আমরা স্বাধীন হয়েছি, কিন্তু একটি শ্রেণি আমাদের ইতিহাসকে মুছে দেবার চেষ্টা করছে।’
কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য এ্যাড. সৈয়দ রেজাউর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘তারা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচতে দেইনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার জন্য আজ দেশ উন্নত বিশ্বের দাড়প্রান্তে। আমরা বীরের জাতি, তাই তো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তায়ন করতে আইডিয়াল কলেজ সব সময় চেষ্টা করছে। সব সময় আমরা কলেজের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সম্পর্কে জানিয়ে দেশকে সোনার বাংলা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে উন্নত জাতি হিসেবে সোনার মানুষ হতে পারি এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি সে চেষ্টা সকলের থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে মন্ত্রীকে কলেজের পক্ষ থেকে স্মারক সম্মাননা দেয়া হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং ‘রাজাকারনামা’ নামক নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়।