Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

death boyসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া গলা কেটে হত্যা করা যুবক জীবিত অবস্থায় বাড়িতে ফিরে আসায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

যুবকের বাড়ি ফেরার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওই যুবককে দেখতে তার বাড়িতে শত-শত উৎসুক এলাকাবাসী ভিড় জমান।

chardike-ad

ফেসবুকে প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি টিনের ঘরে মধ্যে সঙ্গে থাকা দুইজন এক যুবককে ব্লেড দিয়ে গলাকাটার চেষ্টা চালায়। আর ভিডিও এবং গলাকাটা রক্তাক্ত ছবি মোবাইলে ধারণ করে আরও এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। এরপর মৃত যুবকের মোবাইল দিয়ে প্রথমে তার ছোট ভাই সাইদুর শিকদারের মোবাইলে একটি ভয়েস বার্তা পাঠানো হয়। ওই ভয়েস বার্তায় মৃত যুবক বলেন, আমি জীবিত থাকলে তোরা আমাকে বুধবারে দেখতে পারবি।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার রাত ৯টার দিকে ওই যুবককে আটক করে সদরপুর থানায় নিয়ে আসে।

আটক যুবক আদেল শিকদার (২৫) ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার চর ব্রাহ্মণদী গ্রামের বাবু শিকদারের ছেলে।

জানা যায়, গত বুধবার সকালে ফেসবুকে ব্লেড দিয়ে গলাকাটা রক্তাক্ত ছবি মোবাইলে ধারণ করে ছড়িয়ে দেয় আদেল শিকদারের বন্ধুরা। এরপর ওই ভিডিও সারাদেশে ফেসবুকের শেয়ারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। এ নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হলে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্যে পুলিশের একাধিক গোয়েন্দা দল মাঠে নামেন। ঢাকার তেজগাঁও থেকে আদেলের সঙ্গে থাকা দুই বন্ধুকে আটক করে পুলিশের একটি বিশেষ দল।

এ ব্যাপারে আটক আদেল শিকদার জানান, সে ঢাকার একটি হোটেলে পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসাবে কাজ করতো। গত রোববার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট খেলায় ঢাকার বেগুন বাড়ি এলাকার প্রকাশ নামে তার এক বন্ধুর সঙ্গে জুয়ার বাজি ধরে। সে বাজিতে জয়ী হয়।

বাজির টাকা আনতে সে তার আরও দুই বন্ধু মো. শাকিল হোসেন ও বাবুকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার বেগুন বাড়ি এলাকায় যায়। তার সঙ্গে থাকা বাজির টাকা আত্মসাতের জন্যে তার বন্ধুরা এমন ঘটনা ঘটায় বলে দাবি করে। এরপর মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ও ছবি তার ছোট ভাইয়ের মোবাইলে ট্যাগ করে ওই চক্রের লোকজন। কাকতালীয়ভাবে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসেন আদেল ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আদেল এলাকায় গরু-ছাগল চুরি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। বাড়ি থেকে টাকা নেয়ার জন্যে মোবাইলে হত্যার একটি প্রতারণামূলক ভিডিও এবং ছবি ধারণ করে।

এ ব্যাপারে সদরপুর থানা পুলিশের এসআই মো. শাহিন খান জানান, এদের বিরুদ্ধে ঢাকার তেজগাঁও থানায় মামলা রয়েছে। এ চক্রের আরও দুইজনকে ঢাকায় আটক করা হয়েছে। রাতেই আটককৃতকে তেওগাঁও থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তরের জন্যে পাঠানো হয়েছে।