দক্ষিণ কোরিয়ার একটি জেলা ওমসং গুন বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশী প্রবাসী বিজন বিশ্বাসকে। ইপিএস কর্মী হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ায় আসা বিজন তার কোম্পানীতে কৃতিত্বের সাথে কাজ করার পাশাপাশি সহকর্মীদের সহযোগীতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
চলতি মাসে একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজন বিশ্বাসসহ অন্যান্য সম্মাননা প্রাপ্তদের হাতে সনদ তুলে দেন ওমসং গুন জেলার গভর্ণর লি পিল ইয়োং।
বিজন বিশ্বাস ছুংছং প্রদেশের ওমসং গুনের এয়ার পিংক নামের একটি কোম্পানীতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। কোম্পানীটি বিভিন্ন ধরণের নির্মাণ সামগ্রী তৈরী করে থাকে। ২০০৬ সালে ওয়ার্ক পারমিট কন্ট্রাক্ট নিয়ে প্রথম কোরিয়া এসে ফিরে যান। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ইপিএস প্রোগ্রামে আবার কোরিয়া আসেন।
বাগেরহাট সদরে জন্ম নেওয়া বিজন ৫ ভাই ২ বোনের মধ্যে ষষ্ঠতম। ক্রীড়াঙ্গনেও সুনাম কুড়িয়েছেন বিজন। ১৯৯৯ সালে জাতীয় প্রতিযোগিতায় সাতাঁরে রৌপ্য পদক অর্জন করেন।
কোরিয়ার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান বিজন বিশ্বাস। তিনি বাংলা টেলিগ্রাফকে জানান ‘কোম্পানী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে একটি কারখানা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমারও ইচ্ছে আছে এই কোম্পানীকে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে আমার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর। বাংলাদেশে কারখানা করতে পারলে দেশে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হবে’।
‘কোম্পানীর মালিক আমাকে বিশেষভাবে স্নেহ করেন। এখন আমার অধীনে পুরো একটি ডিপার্টমেন্ট চলে। আমাদের কোম্পানীতে অনেক বিদেশী থাকলেও বাংলাদেশী ছিলো না। ইতিমধ্যে মালিক বাংলাদেশী নিয়োগ দেওয়া ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছেন এবং প্রায় ১০ জন বাংলাদেশী ইপিএস কর্মীকে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন’। বিজন বিশ্বাস আরো বলেন ‘আমরা দ্বায়িত্বের সাথে কাজ করলে দেশের সুনাম বৃদ্ধি পাবে এবং সেই সাথে কোরিয়াতে বাংলাদেশী কর্মীদের চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে’।