কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠে নামবে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দল। জাতীয় দলের খেলা দেখা নিয়ে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সমর্থকরাও। তবে এবারের এই ফাইনালের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে যাচ্ছে ‘নাগিন নাচ’ বা এ নাচ নিয়ে নানা ধরনের স্ট্যাটাস কিংবা ছবিতে।
এবারের এই ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ পর্যায়ে এসে ‘নাগিন নাচ’ রীতিমত ভাইরাল হয়ে গেছে ফেসবুকে। সমর্থকদের অনেকেই ঘরে কর্মস্থলে একা কিংবা দলবেঁধে ‘নাগিন নাচ’ অর্থাৎ মাথার ওপরে দু হাত তুলে সাপের ছোবলের মতো করে ছবি তুলে ফেসবুকে দিচ্ছেন দলের প্রতি সংহতি জানাতে।
ফারুক শাহ নামে একজন লিখেছেন, “আজ নাগদ্বীপে টাইগাররা নাগিন নাচ নেচেই ছাড়বে! কি বলেন..?” শিমুল কবির লিখেছেন, “চলিতেছে হৈ চৈ নাগিন ড্যান্স উৎসব আজকেও দেখবো আশা করি”। রাশেদ রুদ্র লিখেছেন, “কেন যেন মনে হচ্ছে জাতি আজও নাগিন ডান্স দেখবে”।
কেউ কেউ আবার শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন যে এটিই না বাংলাদেশের ট্রেন্ডে পরিণত হয়।
তাদের মতে টাইগার ব্রান্ডই বাংলাদেশের জন্য বেশি উপযুক্ত, আর আজকের ম্যাচ জিতলেও যদিও বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা নাগিন নাচ দেখায় তাহলে বিশ্ব মিডিয়া সেটিই লুফে নিতে পারে।
শ্রীলংকার বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফিতে মুশফিকুর রহিম দলকে জেতানোর পর এমন নাচেন।আর এরপরই এটি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে।শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের উইকেট হারানোর সময়গুলোতে নাগিন নাচের ভঙ্গি করতে দেখা গেছে গ্যালারিতে শ্রীলংকার সমর্থকদের।
পরে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বাংলাদেশের জেতার পর বাংলাদেশের খেলোয়াড় ম্যানেজার সবাইকেই এ নাচ প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। তবে এ নাচের সূচনা হয়েছিলো অনেক আগে নাজমুল ইসলাম অপুর মাধ্যমে । যিনি এবার দলে থাকলেও শ্রীলংকার বিপক্ষে ব্যাটিং বোলিং কিছুই পাননি।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি আসরে তিনি এই নাচ প্রথম নাচেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পরেও নাজমুল উইকেট পাওয়ার পর এমন নাচ দেখান। আজ বাংলাদেশ ভারত ফাইনালের ফলাফল যাই হোক নাগিন নাচের বড় প্রদর্শনীই দেখা যেতে পারে স্টেডিয়ামে বা স্টেডিয়ামের বাইরে।
বাংলাদেশ জিতলে যেমন এমন নাচ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে তেমনি হারলেও এটি দেখা যেতে পারে মাঠে উপস্থিত শ্রীলংকান সমর্থকদের মধ্যেও। কারণ বাংলাদেশের কাছে হেরে শ্রীলংকা ফাইনালে উঠতে না পারায় তাদের সমর্থকরা হয়তো আজ ভারতকেই সমর্থন করবেন। বিবিসি