বাংলাদেশের নির্বাসিত বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন আর কথা বলতে পারছেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তিনি কোনো কথাই বলতে পারছেন না। সাইন ল্যাংগুয়েজ দিয়ে সবার সাথে যোগাযোগ করছেন।
চিকিৎসকের কাছে গিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। চিকিৎসক বলেছেন, ভাইরাস জনিত কারণে কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন তিনি। ডাক্তার বলেছেন, দুই দিন লাগতে পারে আবার দুই মাসও লাগতে পারে।
ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেই জানিয়েছেন তসলিমা। তিনি এই বিষয়ে দুইটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ১ম স্ট্যাটাসে লিখেছেন-
“সকালে উঠে দেখি আমি কথা বলতে পারছি না। কোনও স্বর বেরোচ্ছে না গলা দিয়ে। সাইন ল্যাংগুয়েজ কোনওদিন শিখিনি, কিন্তু দিব্যি ওটাই চালাচ্ছি। কী কারণে ভয়েস হারিয়ে ফেললাম জানিনা। ডাক্তারের কাছে এসেছি। ভাবছি ভয়েসটা কি আদৌ ফিরে পাবো। ভয়েস যে এভাবে বলা নেই কওয়া নেই উবে যেতে পারে, জানতাম না।”
২য় স্ট্যাটাসে লিখেছেন-
“না, জবান আল্লাহ নেননি, জবান নিয়েছেন ভাইরাস। ডাক্তার জিভ টেনে বার করে দেখতে চাইলেন গলার ভেতরটা। সম্ভব হয়নি। আমি নাকি খুব সেনসিটিভ। ওষুধ লিখে দিলেন, বলে দিলেন কথা বলার কোনওরকম চেষ্টা যেন না করি। প্রেস্ক্রিপশানের এক নম্বরেই লেখা ভয়েস রেস্ট। এতকাল সরকার আমার বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, এবার কাড়লেন ডাক্তার। অবশ্য বাকই নেই, আবার স্বাধীনতা কিসের!
৩/৪ দিন পরও স্বর ফিরে না এলে ফের ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। তখন নাকি মুখে যন্ত্র ঢুকিয়ে ল্যারিংস না দেখতে পারলে নাক দিয়ে যন্ত্র ঢুকিয়ে দেখবেন। ভালো যে ডাক্তারি চাকরি ছেড়েছিলাম। যত বয়স বাড়ছে, তত আমার হাসপাতালে যাওয়ার অনীহা বাড়ছে।
স্বর কবে নাগাদ ফেরত পাবো, ডাক্তারবাবু? প্রশ্ন কাগজে লিখে দিলাম। উনি বললেন, কোনও ঠিক নেই। এক দুদিনের মধ্যে ফিরতে পারে, এক দুমাসও লাগতে পারে।
দুমাস? তার মানে দু মাস কথা বলতে পারবো না?
না।
ফিরে তো আসবে স্বর একদিন না একদিন, তাই না?
আসবে।
শিওর তো?
পৃথিবীতে কিছুই শিওর না।”