ভারতের হায়দরাবাদের এক ছাত্র তার আত্মহত্যার ভিডিও সরাসরি সম্প্রচার করেছেন। আজমীর সাগার নামের ২০ বছর বয়সী ওই তরুণ তার বান্ধবীকে হোয়াটস্অ্যাপে ভিডিও কলে রেখে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে। তার আত্মীয়রা কয়েক ঘণ্টা পরে ঘর থেকে তার দেহ উদ্ধার করে। খবর বিবিসি বাংলার।
হায়দরাবাদসংলগ্ন সাইবারাবাদ পুলিশ কমিশনারেট এলাকার নেরেদমেট অঞ্চলে এই ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে। আত্মহত্যার ওই ভিডিওটি সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
ছবিতে প্রথমে সাগারের মুখ দেখা যাচ্ছে। তারপরে সেই উইন্ডোটি ছোট হয়ে গিয়ে এক তরুণীর ছবি দেখা যাচ্ছে। কয়েক সেকেন্ড পর তার পাশে বসা আরেক তরুণীকে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে ছোট উইন্ডোতে দেখা যাচ্ছে ঘরের কোনায় ছাদ থেকে ঝোলা একটি দড়ি নিজের গলায় পরে নিচ্ছে ওই তরুণ।
ততক্ষণ পর্যন্ত ওই দুই তরুণী মজাই করছিল। তাদের হাসাহাসির শব্দও শোনা যাচ্ছে স্পষ্ট। তারা সম্ভবত ভাবছিল যে সাগার মজা করছেন।
স্থানীয় নেরেদমেট থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ এম জগদীশ চন্দর বলেন, “সাগার নামের ওই ছেলেটির সঙ্গে ১৯ বছর বয়সীর একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাদের দুজনের বাড়িতেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। বুধবার সকালে সাগার তার বান্ধবীকে হোয়াটস্অ্যাপে ভিডিও কল করে। তার মধ্যেই সে আত্মহত্যা করে।”
পুলিশ আরও জানায়, আজমীর সাগার তার দিদি-জামাইবাবুর বাড়িতে থেকে একটি কারিগরিবিদ্যার কোর্স করছিল। বুধবার ঘটনার সময়ে তার বাড়িতে অন্য কেউ ছিল না। তাকে ফোন করে কোনও সাড়া না পেয়ে দিদি বাড়িতে ছুটে আসেন। ততক্ষণে সাগারের মৃত্যু হয়েছে।
জগদীশ চন্দর বলেন, “যে মেয়েটির সঙ্গে সাগারের সম্পর্ক ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি, সে আমাদের থানা এলাকার বাসিন্দা নয়। তাই তার সঙ্গে এখনও কথা বলে উঠতে পারিনি। একটা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছি।”