যদি ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করে, তবে একই পথে হাঁটবে সৌদি আরবও। সৌদি সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এ কথা বলেছেন।
বিবিসি খবরে বলা হয়, সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সালমান এ কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারে যুবরাজ সালমান বলেন, পরমাণু বোমা তৈরি করতে চায় না সৌদি আরব। কিন্তু আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইরান যদি পরমাণু বোমা তৈরি করে, তবে বসে থাকবে না সৌদি আরব।
সালমান সতর্ক করে বলেন, ‘যদি ইরান একটি পরমাণু বোমা তৈরি করে ফেলে, তবে কোনো সন্দেহ নেই যে, আমরাও যত দ্রুত সম্ভব ওই পথে এগোব।’
২০১৫ সালে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে কয়েকটি বিশ্বশক্তির সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছে ইরান। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার বিরোধ নতুন কিছু নয়। সুন্নি ভাবধারার সৌদি আরব ও শিয়া মতাবলম্বী ইরান-উভয় দেশই পরস্পরকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়া ও ইয়েমেন ইস্যুতে এই দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
গত নভেম্বর মাসে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের নতুন হিটলার’ বলে অভিহিত করেছিলেন যুবরাজ সালমান।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র দেশ সৌদি আরব। তেলসমৃদ্ধ এই দেশটি পরমাণু কর্মসূচি শুরু করেছে কিনা, সেই ব্যাপারে কোনো বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচিতে বিনিয়োগ করেছিল সৌদি আরব।
এখনো পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে বিবেচনা করা হয়। তবে পরমাণু অস্ত্র থাকার কথা কখনো স্বীকার বা অস্বীকার-কোনোটাই করেনি ইসরায়েল।
সৌজন্যে- প্রথম আলো