শেষ ওভারে চার বলে প্রয়োজন ১২ রান। টান টান উত্তেজনা। দ্বিতীয় বলে রানআউট হয়ে গেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। স্ট্রাইকে থাকলেন মাহমুদউল্লাহই। তৃতীয় বলেই মারলেন বাউন্ডারি। চতুর্থ বলে দুই রান। আর প্রয়োজন ৬ রান। পঞ্চম বলে ইসুরু আদানাকে ছক্কা মেরেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠে যায় বাংলাদেশ।
এমন বীরত্বের পর মাহমুদউল্লাহকে প্রশংসায় ভাসিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। নিজেদের অফিসিয়াল পেজে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে টুইট করেছে সংস্থাটি। তাতে মাহমুদউল্লাহর ছক্কা হাঁকানোর ছবি সংযুক্ত করে ক্যাপশনে লিখেছে, ‘মাহমুদউল্লাহ, তোমাকে কুর্নিশ করছি। চার বলে ১২ রান প্রয়োজন ছিল। সেখানে তিনি সেটা করে দেখালেন মাত্র তিন বলে। বাংলাদেশ চলে গেল ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে শুরুতে ৩৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ দলকে খেলায় ফেরান তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে তারা ৬৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্নও দেখান।
শেষ ওভারে বোলার ইসুরু উদানা টানা দুটি বাউন্সার দিলেন। রানআউটও হলেন মোস্তাফিজ; কিন্তু কাঁধের ওপর দুটি বাউন্সারে একটাও ওয়াইড কিংবা নো ডাকলেন না আম্পায়াররা। এরই তুমুল প্রতিবাদ করে ওঠেন সাকিব আল হাসান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং রুবেল হোসেনকে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বলেন।
ওই অবস্থায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা মাঠ ছেড়ে উঠে আসলে ওয়াকওভার পেয়ে যেতো শ্রীলঙ্কা। সে ক্ষেত্রে বিদায় নিতো বাংলাদেশ। শেষ মুহূর্তে এমন মাথা গরম সিদ্ধান্ত অবশ্য ঠেকান টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। রিয়াদদের তিনি মাঠ থেকে উঠে আসতে দিলেন না। যদিও মাঠের মধ্যেই আম্পায়ার এবং শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে তর্ক বেধে যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
সাকিব যখন বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে দলকে বার বার উঠে আসতে বলছিলেন, তখন তার পাশে উত্তেজিত ভঙ্গিতে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশ দলের একাদশের বাইরের আরেক ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহানকে। শেষ তিন বলে ১২ রান নিয়ে রিয়াদ যখন বাংলাদেশকে জয় উপহার দিলেন, তখন উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো বাংলাদেশ। অর্থাৎ, ১ বল হাতে রেখেই ছক্কা মেরে দলেকে এনে দেন সেই কাঙ্ক্ষিত জয়।
আগামী রোববার শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।