পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরিয়ে আনার জন্য উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে এখনও আশাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঐ আলোচনা দুই কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি পুরো বিশ্বের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। কোরীয় উপদ্বীপের চলমান উত্তেজনা নিরসনে রাশিয়াকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

chardike-ad

এদিকে, চীন বলেছে, তারা সবসময়ই আলোচনার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে সৃষ্ট সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে।

কোরীয় সংকট এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাসহ দ্বিপক্ষীয় নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার রাশিয়া সফরে যান দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কার্যালয়ের প্রধান চুং ইউই-ইয়ং। সেখানে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠকে তার আলোচনা হয় আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং দ্বিপক্ষীয় নানা ইস্যুর পাশাপাশি কোরীয় সংকট প্রসঙ্গে। কোরীয় উপদ্বীপের চলমান উত্তেজনা নিরসনে এবং উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে রাজি করাতে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই দক্ষিণ কোরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

চুং ইউই-ইয়ং বলেন, ‘আমরা চাই কোরীয় সংকট সমাধানে চলমান শান্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হোক রাশিয়া। এটি অবশ্যই আমাদের সামনে এক বড় সুযোগ। আমরা চাই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের যে আলোচনার কথা বলা হচ্ছে রাশিয়াও তাতে অংশগ্রহণ করুক। এতে করে অবশ্যই সংকট সমাধানে একটি শান্তিপূর্ণ পথ বের হয়ে আসবে বলে মনে করি আমরা।’

দক্ষিণ কোরিয়ার এই আহ্বানের সরাসরি কোন উত্তর না দিলেও, মস্কো বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে বলে জানান রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। কোরীয় সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে এগিয়ে আসায় দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের প্রশংসা করেন তিনি।

সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ‘রাশিয়া সবসময়ই কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনার নিরসন চায়। আর এ লক্ষ্যে সবপক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই আমরা। কোরীয় ইস্যুতে আমাদের ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করায় আমরা দক্ষিণ কোরিয়াকে স্বাগত জানাই।’

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা হবে বলে তিনি আশাবাদী। ট্রাম্প বলেন, আলোচনা যদি সত্যিই অনুষ্ঠিত হয়, তবে তা অবশ্যই দুই কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি পুরো বিশ্বের জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে। মঙ্গলবার, মেরিন কোরের মিয়ানমার এয়ার স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে এই মুহূর্তে আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা বেশ ভালভাবেই এগোচ্ছে। আশা করছি এ থেকে ভবিষ্যতে ভাল কিছু বের হয়ে আসবে। আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। এবং এবার আমি সত্যিই অনেক আশাবাদী। আমার মনে হচ্ছে এবার সত্যিই ইতিবাচক কিছু ঘটবে।’

এদিকে, চীন আবারও আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে কোরীয় সংকট সামাধানের আহ্বান জানিয়েছে। মঙ্গলবার, এক সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তাতে সংকট সামাধানে চীন আশাবাদী। চীন সবসময়ই কোরীয় সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে বলেও জানান তিনি।