৩৪ বছর আগে ১৯৮৪ সালের ৪ আগস্ট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফকার এফ-২৭ (ফ্লাইট নাম্বার এস-২ এবিজে) তৎকালীন জিয়া আন্তজার্তিক বিমানবন্দরের অদূরে বিধ্বস্ত হয়ে ৪৯ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরছিল।
নিহতদের মধ্যে ৪৫ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলের। যাত্রীদের মধ্যে দুইজন বিদেশি ও ৪৩ জন বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন। ওই দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের প্রথম বেসামরিক নারী পাইলট কানিজ ফাতেমা রোকসানা নিহত হন।
১৯৮৪ থেকে ২০১৮ তিন দশকের বেশি সময় পর আজ (সোমবার) একই ধরনের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো। ৩৪ বছর পর বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এতো বেশি বাংলাদেশি নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের বেসরকারি ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স নেপালের কাঠমুন্ডুতে বিধ্বস্ত হয়। এয়ারলাইন্সটি ৬৭ জন যাত্রী, দুইজন পাইলট ও দুইজন কেবিন ক্রু নিয়ে বাংলাদেশ সময় ১২টা ৫১ মিনিটে নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমুন্ডু বিমানবন্দরে রানওয়েতে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। এয়ারলাইন্সটিতে আগুণ ধরে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে অদূরে একটি ফুটবল মাঠে গিয়ে পড়ে।
নিহতদের সংখ্যা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া না গেলেও অর্ধশতাধিক নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এপি বলছে, এ পর্য়ন্ত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ বলেন, ‘হতাহতের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। ফ্লাইটে দুই শিশুসহ ৬৭ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে পাইলট ও ক্রু ছিলেন চারজন। আরোহীদের মধ্যে ৩৩ জন বাংলাদেশি, নেপালি ৩২, একজন মালদ্বীপ এবং একজন চীনা নাগরিক ছিলেন।’
সৌজন্যে- জাগো নিউজ