Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

south-africaঘরের মাঠে প্রথম টেস্টে ১১৮ রানের হার। তবে ওই টেস্টটা পঞ্চম দিন পর্যন্ত টেনে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানো প্রোটিয়াদের সামনে সেটাও পারলো না অস্ট্রেলিয়া। স্টিভেন স্মিথের দলকে মাত্র সাড়ে তিনদিনেই হারিয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটি জিতেছে ৬ উইকেটে।

প্রোটিয়াদের এই জয়ের মূল নায়ক দুজন- কাগিসো রাবাদা আর এবি ডি ভিলিয়ার্স। প্রথম ইনিংসে রাবাদা নিয়েছিলেন ৫ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে এসে ৬টি। ডি ভিলিয়ার্সও প্রথম ইনিংসে দলের বিপদে খেলছিলেন হার না মানা ১২৬ রানের ইনিংস, ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি করেন গুরুত্বপূর্ণ ২৮ রান।

chardike-ad

প্রথম ইনিংসে ১৩৯ রানে পিছিয়ে থাকায় মাথার পাহাড়সমান চাপই ছিল অস্ট্রেলিয়ার। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই চাপটা সামলে নিতে পারলো না স্টিভেন স্মিথের দল। তৃতীয় দিনে ১৮০ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা সফরকারিরা চতুর্থ দিনের সকালেই গুটিয়ে যায় ২৩৯ রানে। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১০১ রানের।

বল হাতে ঝড় তোলা কাগিসো রাবাদা চতুর্থ দিনের প্রথম ওভারেই তুলে নেন লড়াই চালিয়ে যাওয়া মিচেল মার্শকে। ১২৫ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৪৫ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে দেন প্রোটিয়া দলের তরুণ পেসার। এরপর প্যাট কামিন্সের (৫) উইকেটটিও নিয়েছেন রাবাদা।

একটা প্রান্ত ধরে কিছুটা লড়াই চালিয়েছেন টিম পেইনি। তবে সঙ্গীর অভাবে তিনি শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ২৮ রানে। ৫০ বলের ইনিংসে ২টি বাউন্ডারি হাঁকান অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৫৪ রানে ৬টি উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা, দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ১১টি। এ নিয়ে ২৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে চতুর্থবারের ১০ বা ততোধিক উইকেট নিলেন ডানহাতি এই পেসার। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি এবং কেশভ মহারাজ।

১০১ রানের মামুলি লক্ষ্য খুব দ্রুতই তাড়া করতে চেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেজন্য বেশ কয়েকটি উইকেটও হারিয়ে ফেলে তারা। তবে শেষরক্ষা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ২২.৫ ওভারেই জয়ের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় ফাফ ডু প্লেসিসের দল। ডি ভিলিয়ার্সের ২৮ ছাড়াও হাশিম আমলা ২৭ আর এইডেন মার্করাম করেন ২১ রান।