মেয়ের অত্যাচারের শিকার হয়ে অনেক আগেই বাড়ি ছেড়েছেন। বাড়ি ছেড়ে গিয়ে কারো কাছেই কোনো রকম সাহায্য পাননি। সে কারণে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন মা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানে। নির্যাতিতা বৃদ্ধার নাম লক্ষ্মী রানি কর্মকার। স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী তিনি। বৃদ্ধ বয়সে তার ঠাই নিতে হয়েছে রাস্তায়।
বর্ধমানের ধোকড়াশহিদ এলাকার এই বাসিন্দা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও সুবিচার চেয়ে আবেদন পাঠিয়েছেন। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কোনো সুরাহা না পাওয়ায় প্রশাসনের কাছে স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন করেছেন তিনি। কলকাতা২৪-এর এক প্রতিবেদনে এসব জানানো হয়েছে।
বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সদর মহকুমা শাসক (উত্তর) পুষ্পেন সরকার। লক্ষ্মী রানি দেবীর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ গিয়েছে বর্ধমান থানায়। বর্ধমানের ধোকড়াশহিদ এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মী রানি দেবী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও সুবিচার চেয়ে আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন। লক্ষ্মী দেবী এদিন জানিয়েছেন যে পুলিশ প্রশাসনের কাছে জানিয়েও তিনি কোনো সুরাহা না পাওয়ায় প্রশাসনের কাছে স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন করেছেন।
লক্ষ্মী রানি দেবীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় মানবাধিকার সংরক্ষণ সংঘ। এদিন এই সংঘের রাজ্য সভানেত্রী সঙ্গীতা চক্রবর্তী, রাজ্য সম্পাদক অম্বিকানন্দ মহারাজ সহ সংগঠনের সদস্য তরুণ প্রামাণিক, কামরুল ইসলাম মোল্লা, শেখরনাথ ঘোষ প্রমুখরা জানিয়েছেন, যতদিন না লক্ষ্মীদেবী সুবিচার পাচ্ছেন ততদিন তারা লক্ষ্মীদেবীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। একইসঙ্গে তারা লক্ষ্মীদেবীকে স্বেচ্ছায় মৃত্যু বরণ করতে না দিয়ে প্রশাসনের কাছে সুবিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন।
সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ