নিদাহাস টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের সামনে ১৪০ রানের জয়ের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। লিটন দাস আর সাব্বির রহমানের ত্রিশোর্ধ্ব দুটি ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৯ রান তুলতে পেরেছে টাইগাররা।
তামিম ইকবালের সঙ্গে সৌম্য সরকার ওপেনিংয়ে শুরুটা করেছিলেন ভালোই। হঠাতই ভুল করে বসেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ১২ বলে ১৪ রান করে পেসার জয়দেব উনাদকাতের বলে শর্ট ফাইন লেগে যুজবেন্দ্র চাহালকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর শার্দুল ঠাকুরের ওভারের তৃতীয় বলটায় তামিম ইকবালকে আউট দিয়ে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউ থেকে বেঁচে যান দেশসেরা এই ওপেনার। পরের দুই বলে দুটি বাউন্ডারিও মারেন তিনি।
কিন্তু ওভারের শেষ বলে আরেকটু চড়াও হতে গিয়ে সৌম্যর মতোই শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে বসেন তামিম। ২ চারের সাহায্যে বাঁহাতি এই ওপেনার করেন ১৬ বলে ১৫ রান।
ইনিংস বড় করতে পারেননি মুশফিকুর রহীমও। দারুণ খেলতে থাকা এই ব্যাটসম্যান বিজয় শঙ্করকে এগিয়ে এসে হিট করতে চেয়েছিলেন। বলটা ব্যাটে আলতো ছোঁয়া পেয়ে চলে যায় ভারতীয় উইকেটরক্ষক দিনেশ কার্তিকের হাতে। আম্পায়ার আউট দেননি। সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নিয়ে নেন কার্তিক।
রিভিউতে ব্যাটে-বলে সংযোগের প্রমাণ মেলায় আউট হয়ে ফিরতে হয় মুশফিককে। ১৪ বলে তিনি করেন ১৮ রান। মারকুটে এই ইনিংসে ছিল ২ চার আর ১টি ছক্কার মার।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলের ভারপ্রাপ্ত এই অধিনায়ক ৮ বল খেলে করেন মাত্র ১ রান। শঙ্করের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেন তিনি।
লিটন দাস আর সাব্বির রহমান বাংলাদেশকে ১০০ রানের ঘর পার করে দিয়েছেন কোনোমতে। তবে যুজবেন্দ্র চাহালকে তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান দারুণ খেলতে থাকা লিটন। ৩০ বলে ৩ চারে ৩৫ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
মেহেদী হাসান মিরাজ ৩ বলে ৩ রান করে ফেরার পর ইনিংসের একদম শেষভাগে এসে ২৬ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৩৫ রান করে আউট হয়েছেন সাব্বির রহমান।
ভারতের পক্ষে ৩৮ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন পেসার জয়দেব উনাদকাত।